এপি, ইসলামাবাদ :
কিস্তানের একটি আদালত দুর্নীতির দায়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তার ভবিষ্যৎ রাজনীতির শেষ হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেও দেশের শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতা হিসেবে ইমরান খান রয়ে যান এবং রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করার পর সম্পদ গোপন করেন।
জ্যৈষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আলী নাসির রিজভী বলেন, সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পরে শনিবার তাকে কঠোর অবস্থার জন্য একটি উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
সমালোচকরা বলছেন, এই রাজনীতিবিদকে কারাগারে পাঠানোর প্রচেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ঘটনায় বিভাজন তীব্রতর হয়েছে।
এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি আইনি মামলা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বেশ কয়েকটি দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ এবং মে মাসে মারাত্মক বিক্ষোভে জনগণকে সহিংসতার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ। সে সময় তার অনুসারীরা সারাদেশে সরকারি ও সামরিক সম্পত্তিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই কারাদণ্ডের কারণে নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পারে। যেহেতু আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা সরকারি পদে থাকতে পারবেন না বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
তার দ ল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।
আরও পড়ুন
রাজধানীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ
১ জুলাই-১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য জমা দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার