নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধারাবাহিকভাবে কমছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ। ২০২১-২২ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ১৫ হাজার ২৩৩ টন ক্রু রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হলেও গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে ৮ হাজার ৫১১ টনে দাঁড়িয়েছে। এজন্য ভারত অভ্যন্তরে নানা জটিলতাকে দায়ী করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভারতে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা না থাকা, কোয়ারেন্টাইন অফিস, বন্দরের ব্যবস্থাপনা না থাকা ও রাস্তা সরুসহ নানা জটিলতার কারণে রপ্তানি বাড়ছে না। বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে পণ্য রপ্তানি হবে তার কোনো কর্মকর্তা নেই। ভারতে গিয়ে যে পণ্যটি খালাস করে নেবে কোয়ারেন্টাইনসহ এ ধরনের কোনো অফিস তাদের নেই। বাধ্য হয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এদেশে যখন আলুর দাম কম থাকে, সে সময় কিন্তু ভারত বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানি করতে চায় কিন্তু তাদের ওখানে অফিস না থাকার কারণে তারা নিতে পারে না। হিলিতে একটি জুট মিল রয়েছে, সেখানে উৎপাদিত চটের বস্তাগুলো ভারতে রপ্তানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এর একটিমাত্রই কারণ এ বন্দরের ভারত অংশে এ পণ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা রপ্তানির প্রক্রিয়া করার কোনো অফিস নেই। এতে করে পণ্য পরিবহন খরচ বাড়ছে।
এ ছাড়া এ অঞ্চলে ব্যাপক কলার আবাদ হয়। ভারতে কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু রপ্তানি করা যাচ্ছে না। সূত্র জানায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে ইচ্ছে করলেও সব ধরনের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে গেলে ভারতীয়রা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। ভারতীয় অংশে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পোস্টিং দেয়া হয় না। এ ছাড়া ওখানে বন্দরের কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। এ ব্যাপারে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যে হারে পণ্য আমদানি হয় সেই হারে পণ্য রপ্তানি হয় না। বন্দর দিয়ে যদি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেত তাহলে অধিক পরিমাণ ডলার আসতো বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি