September 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, August 13th, 2023, 8:41 pm

মুসলমানদের উপর নির্যাতন বৈধতা দিতে চীনের ট্রল আর্মি গঠন

অনলাইন ডেস্ক :

চীনা সরকারে তাদের দেশের উইঘুর মুসলমানদের উপর নির্যাতন, নৃশংসতা ও গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আর নিজেদের এই অপকর্মকে বৈধতা দিতে টুইটার বাহিনী বা ট্রল আর্মি গঠন করেছে যারা চীনা সরকারের পক্ষে প্রচার চালায়। উইঘুর সম্প্রদায়ের পক্ষে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে তাদের নিয়ে ট্রল করাই এই টুইটার বাহিনী বা ট্রল বাহিনীর কাজ। সম্প্রতি ডিএফআরসির এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, চীনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে টুইটারে একটি শক্তিশালী শক্তি আবির্ভূত হয়েছে। এই নতুন শক্তি হলো চীনা টুইটার আর্মি। তারা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি প্রতারণামূলক ছবি প্রচারের কাজে নিয়োজিত। তারা সেই প্রদেশকে শান্তি ও অগ্রগতির আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রচার করে। একই সাথে এই টুইটার সেনাবাহিনী কেবল চীনা সরকারের পক্ষেই ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না। বরং যারা উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের উপর আলোকপাত করে তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলও করে।

চীনের এই টুইটার সেনাবাহিনীর লক্ষ্য যারা চীনা সরকার দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে বা হয়েছে তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন হ্রাস করা। চীনা সরকারের দ্বারা নির্যাতিত মানুষদের উপর যাতে অন্যরা সহানুভূতি না দেখায় সে লক্ষ্যেই কাজ করে এই বাহিনী। উইঘুর মুসলমানদের ব্যাপারে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি ভিত্তিহীন নয়। কেননা ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে উইঘুর সম্প্রদায় নিয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছিল। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, উইঘুর মুসলমানরা যে জিনজিয়াং অঞ্চলে বাস করে তা একটি বিস্তৃত বন্দী কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ আটক জীবন, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও যন্ত্রণা সহ্য করছে।

দেশটিতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। রমজান মাসে তাদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি তাদের দাড়ি রাখাও নিষিদ্ধ করেছে শি জিনপিং সরকার। মুসলমানদের উপর শি জিনপিং সরকারের এই নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন। তাদের মোকাবেলা করতেই চীনা সরকারের এই ঘৃণ্য ট্রল বাহিনী গঠন। উল্লেখ্য ডিএফআরসির গবেষণায় উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রচার করে এমন ১০০টি টুইটার অ্যাকাউন্টের ১০০০টি টুইট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই গবেষণায় ট্রল বাহিনী কোন প্যাটার্নে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায় তা প্রকাশ করা হয়েছে।