September 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, August 18th, 2023, 8:01 pm

১৫ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল নতুন দুই সিনেমা

অনলাইন ডেস্ক :

শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) দেশের ১৫টি সিনেমা হলে মুক্তি পেল দুটি ছবি। মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে সরকারী অনুদানে নির্মিত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, অন্যটি দেশ বিদেশে আলোচিত ও প্রশংসিত ‘আম কাঁঠালের ছুটি’। এরমধ্যে ১০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে হৃদি হক পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘১৯৭১ সেই সব দিন’। রাজধানীতে স্টার সিনেপ্লেক্সের তিন শাখা সহ যমুনা ব্লকবাস্টার, উত্তরার ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড, কেরানিগঞ্জের লায়ন সিনেমাস, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন, সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেক্লাব, সিলেটের গ্র্যান্ড মুভি থিয়েটার এবং নওগাঁর তাজ সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। প্রয়াত নন্দিত অভিনেতা ও নাট্যকার ড. ইনামুল হকের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।

সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের একটি পরিবার এবং সেই সময়ের কিছু ঘটনা নিয়েই সিনেমাটির গল্প। ‘১৯৭১ সেইসব দিন’-এ অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। রয়েছেন ফেরদৌস, সজল, সানজিদা প্রীতি, লিটু আনাম, তারিন জাহান, হৃদি হক, মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, শিল্পী সরকার অপু, সাজু খাদেমসহ অনেকে। অন্যদিকে তারকা মুখ না থাকলেও ইতোমধ্যে দেশ বিদেশে আলোচনা সৃষ্টি করেছে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ সিনেমাটি। এটিও মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য। রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া সহ বেশকিছু দেশে সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) থেকে দেশের ৫টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা শাখা) এবং যমুনা ব্লকবাস্টারে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ দেখতে পারবেন দর্শক। এ ছাড়া কেরানিগঞ্জের লায়ন সিনেমাস, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি চলবে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাকারের তরফে জানানো হয়, দ্বিতীয় সপ্তাহে এ তালিকায় আরও কিছু নতুন প্রেক্ষাগৃহ যুক্ত হবে। এ ছাড়া দেশের বাইরেও সিনেমাটির বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু হবে চলতি মাসের শেষদিকে। শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’। গত শতাব্দীর সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে যারা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন তারা তাদের সেই বয়সের যাপিত জীবনকে নস্টালজিক আবহে তৈরি এই চলচ্চিত্রে দেখতে পাবেন বলে মনে করেন নির্মাতা। সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর আমাদের নিজস্ব

লোকজ সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা। চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের নামকরণ করা হয়েছে ‘সামার হলিডে’। সিনেমাকার প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটির পিছনে রয়েছে দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের গল্প। খুব ছোট একটি কারিগরি ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে গাজীপুরের হারবাইদ সংলগ্ন প্রায় পঁচিশ-ত্রিশ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকেশনে ধারণ করা এই চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন নির্মাতা নিজেই, সাথে ছিলেন ম্যাক সাব্বির। প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি সাউন্ড ডিজাইনও করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছে লিয়ন, জুবায়ের, আরিফ, হালিমা ও তানজিল। আরও ছিলেন ফাতেমা, কামরুজ্জামান কামরুল, আবদুল হামিদ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির প্রধান সহকারী পরিচালক যুবরাজ শামীম।