September 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 22nd, 2023, 8:11 pm

গ্রিসের থেকে সহায়তার আশ্বাস পেলেন জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক :

একের পর এক ইউরোপীয় দেশ সফর করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি নিজের দেশের জন্য আরো সমর্থন এবং সামরিক ও অন্যান্য সহায়তার অঙ্গীকার পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ছাড়পত্র পাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এবার গ্রিস ইউক্রেনের সামরিক পাইলটদের সেই যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। জেলেনস্কি গ্রিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন। এথেন্সে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকস মিতসোতাকিসের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনের ওডেসা শহর পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে গ্রিস সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ঐতিহাসিক কারণে সেখানে গ্রিক বংশোদ্ভূত অনেক ইউক্রেনীয় মানুষ বাস করে বলে এথেন্স সেই কাজ করতে আগ্রহী।

মিতসোতাকিস ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তীব্র নিন্দা করে আন্তর্জাতিক বিচার কাঠামোর আওতায় শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেন। রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন সত্ত্বেও তার নেতৃত্বে গ্রিসের সরকার যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। গত বছর গ্রিস বেশ কয়েকজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। ন্যাটোর সদস্য দেশ গ্রিসের বিমানবাহিনীতে মূলত এফ-১৬ বিমানই রয়েছে। সে দেশের পাইলটরা এমন বিমান চালাতে অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ। নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক এফ-১৬ বিমান দিলেও ইউক্রেনের পাইলট ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের দ্রুত প্রশিক্ষণ না দিলে সেই বিমান কাজে লাগাতে বিলম্ব ঘটবে। সে কারণে গ্রিসের প্রস্তাব বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। চলতি মাসেই ১১টি দেশের একজোট ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ শুরু করছে। ২০২৪ সালের শুরুতেই তারা এফ-১৬ বিমান চালাতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শুধু গ্রিস নয়, জেলেনস্কি এথেন্সে গিয়ে বলকান ও পূর্ব ইউরোপের দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন। সার্বিয়া, কসোভো, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মন্টেনেগ্রো, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও মলদোভার শীর্ষ নেতারা ছাড়াও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেলকেও সেই ‘ইনফর্মাল’ মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মূলত ইইউতে যোগদানের বিষয়টি প্রাধান্য পেলেও জেলেনস্কির উপস্থিতির কারণে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আগে জেলেনস্কি নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে অ্যাজেন্ডা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘আমাদের সাধারণ ইউরোপীয় বাসস্থানে মানুষের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষাই আসল লক্ষ্য। প্রত্যেকটি দিন আমরা আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের সেনা ও সহযোগীদের সঙ্গে সহযোগিতা জোরজার করছি।’