November 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, September 22nd, 2023, 8:35 pm

ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

একদিনের বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে হলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

হল দুটি হলো- নিউমার্কেট এলাকার আজিমপুর কবরস্থানের কাছে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল।

এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই হলের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন।

এই দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- শুক্রবার ভোর থেকে হলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

কুয়েত মৈত্রী হলের নিচতলার কয়েকটি কক্ষে পানি জমে আছে। এদিকে এ ঘটনায় নিচতলার শিক্ষার্থীদের উপরের তলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে কুয়েত মৈত্রী হলের একটি দোকানে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পানির সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্র লাবন্ন তাসফি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়ব কখনো কল্পনাও করিনি। গত ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই, খাওয়ার পানি নেই, শৌচাগারেও পানি নেই।

তিনি আরও বলেন, আজ আবার বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে জানি না। তবে বৃষ্টি থামার পর থেকে পানির স্তর একই রয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি ভাড়া করে এবং ক্যান্টিনে খাবার রান্না করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত, জহুরুল হক হল প্রাঙ্গণ, সলিমুল্লাহ হল প্রাঙ্গণ ও সীমান্ত সড়ক, শামসুন্নাহার হলের কিছু অংশসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, আমরা ও আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। যেহেতু আমাদের নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকছে না তাই আমরা পানীয় জল পাম্প করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে আমাদের কাছে যে পানীয় জল রয়েছে তা শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা ওয়াসার সঙ্গে কথা বলেছি- তারা আমাদের পানি সরবরাহ করবেন।

ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ওই এলাকা থেকে পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের তিনটি দল।

তিনি আরও বলেন, সাময়িকভাবে আমরা ওয়াসা থেকে পানির ব্যবস্থাপনা করছি।

—-ইউএনবি