জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ (শাহজাদপুর):
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে “রবীন্দ্র ইউনির্ভাসিটি ২য় আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৩” শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টেগোর লেকচার থিয়েটারে সকাল ১০টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
রবীন্দ্র ইউনির্ভাসিটি ২য় আন্তঃবিভাগ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৩ এর উদ্বোধনী পর্বে চারটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রথম সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ‘কেইনেস লিগেসি’ ও বাংলা বিভাগের ‘সোনারতরী’ অংশগ্রহণ করে।
দ্বিতীয় সেশনে সঙ্গীত বিভাগের ‘চিত্রা’ ও বাংলা বিভাগের ‘অনিরুদ্ধ’, তৃতীয় সেশনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ‘চারুলতা’ ও সঙ্গীত বিভাগের ‘গীতসুধা’ এবং চতুর্থ সেশনে অর্থনীতি বিভাগের ‘ইকোন এলিট’ ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ‘দূরন্ত’ অংশগ্রহণ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, বিতর্ক মানুষকে যৌক্তিক হতে শেখায়। বিতর্ক করলে জানার পরিধি বাড়ে। এই শক্তিশালী কৌশল অবলম্বন ও পরিশীলিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে তরুণেরা সত্য অনুসন্ধানে ব্রতী হয়ে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করতে সমর্থ হবে। শিক্ষার্থীরা যুক্তির মাধ্যমে দেশাত্মবোধকে ধারণ করে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এরকম সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এবং অনুপ্রেরণা দিতে বদ্ধ পরিকর।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন মেধা মনন বিকাশের মাধ্যমে গ্রন্থগত বিদ্যাকে বাস্তবিক জীবনে কাজে লাগাতে পারে, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করতে পারে এবং যুক্তির মাধ্যমে নিজের অভিমত প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেকে নিয়েই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বিপ্লব বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত, তাই এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব গতানুগতিক শ্রেণীভিত্তিক পাঠক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুক্ত চিন্তা বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। আর এর একটি অন্যতম মাধ্যম হতে পারে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন জানান, বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের পথ প্রশস্ত হয়।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা