অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিন যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ সোমবার (৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানায়, এ সংঘাতে ‘গাজায় অভ্যন্তরীণভাবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৮ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই প্রাণভয়ে এবং সুরক্ষা উদ্বেগজনিত কারণে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। আবার এদের মধ্যে অনেকের ঘরবাড়ি ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
সেখানে ৭৩,০০০ এরও বেশি মানুষ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। গত শনিবার সকালে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের একগুচ্ছ আক্রমণের মধ্য দিয়ে কয়েক যুগের ভেতর সবচেয়ে বড় ধরনের সহিংসতার সূত্রপাত হয়। গত রোববার রাতেও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের লক্ষবস্তুতে একে পর এক রকেট এসে আঘাত করে। এসব রকেট ছোঁড়া হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি অবস্থানগুলো থেকে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষবস্তু লক্ষ্য করে বেশকিছু বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে জাবালিয়া এলাকার একটি মসজিদও রয়েছে; যেটিকে হামাস যোদ্ধারা আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহার করতো। এ ছাড়া হামাস নেভাল ফোর্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভবনেও হামলা চালায় ইসরায়েল। এদিকে, অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জ¦ালানি সরবরাহের অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর একমাত্র বিদ্যুতের উৎসটি বন্ধ হয়ে গেলে অন্ধকারে প্রাণহানি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২