November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, October 11th, 2023, 3:18 pm

সিকৃবির ১৩৪ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন এনএসটি ফেলোশিপ

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৪ জন শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এতে খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশিপ প্রাপ্ত হয়েছেন সিকৃবির ১৩০ জন শিক্ষার্থী এবং জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশিপ প্রাপ্ত হয়েছে ৪ জন। পাশাপাশি মেধাতালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন ১০ জন শিক্ষার্থী।

ফেলোশিপ প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞা বলেন, এই ফেলোশিপটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত; মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য। কারণ তাদের মাস্টার্সের রিসার্চ প্রজেক্টের জন্য বিভিন্ন স্টাডি এরিয়াতে যেতে হয়। পাশাপাশি গবেষণার কাজে আরও অনেক জায়গায় খরচের প্রয়োজন হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ফেলোশিপটি পাওয়ার পর তারা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাধীনভাবে তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারে এবং একটি ভালো রিসার্চ পেপারও পাবলিশ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই ফেলোশিপ। আমি সবাইকে এই ফেলোশিপে প্রাপ্ত অর্থ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের গবেষণার কাজে ব্যয় করার আহ্বান জানাচ্ছি।

জানাযায়, মোট তিনটি গ্রুপে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে (১) ভৌত, জৈব ও অজৈব বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, নবায়নযোগ্য শক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ন্যানোটেকনোলজি, লাগসই প্রযুক্তি। (২) জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং (৩) খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান। এই ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা জনপ্রতি ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষণার জন্য ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষকরা তিন লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছর থেকে এই ফেলোশিপ দিয়ে আসছে সরকার। ২০০১-২০০৮ পর্যন্ত এই ফেলোশিপ প্রদান বন্ধ থাকলেও ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে আবারও এই ফেলোশিপ প্রদান করছে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে। এ বছর তিনটি গ্রুপে মোট ৩ হাজার ৮৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী/ গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।