নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ০৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের বিমান যোগে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বর্তমানে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানি সহায়তা করা হয়। ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
ফেরত আসা এই ৩০ জনের মধ্যে শরিয়তপুরের সাত জন, মাদারীপু্রের ছয় জন, গোপালগঞ্জের চারজন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, ফরিদপুরের দুই জন, কিশোরগঞ্জের দুই জন, সিলেটের দুই জন, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকার এক জন করে রয়েছেন।
এর আগে ১৯ আগষ্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ সাত বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরও অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
ব্র্যাক বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংকট এখন এতোটাই বেড়েছে যে বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সাথে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম