রংপুর প্রতিনিধি:
২০২১-২২ অর্থ বছরে কৃষি পূর্ণবাসন কর্মসূচির আওতায় গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির নিমিত্ত প্রণোদনা কর্মসূচির আলোকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পেঁয়াজের চারা বিতরণ ও রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গঙ্গাচড়া কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সয়রাবাড়ি ব্লকের খামার মোহনায় কৃষক সাজু মিয়াকে পেঁয়াজের চারা বিতরণ ও রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বিধু ভুষন রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) শামীমুর রহমান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) মাহবুবুর রহমান। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলামসহ উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আমাদের দেশে সাধারণত শীতকাল পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে উৎপাদিত পেঁয়াজ পরবর্তী ২/৩ মাস পর্যন্ত জনগণ ব্যবহার করতে পারে। যেহেতু কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদনেস্বয়ংসম্পূর্ণ নয় সেহেতু ঘাটতি পূরণে সরকারকে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। দেশে সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয় এবং এ সময় পেঁয়াজের মূল্যেও অনেক বেশি থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় জনপ্রতি দৈনিক ৩০/৩৫ গ্রাম পেঁয়াজ প্রয়োজন হয়। গত রবি মৌসুমে রংপুর জেলায় ২ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। সরকার এই সময় সংকট বিবেচনা করে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৫০০ বিঘা জমিতে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হবে। এই পেঁয়াজ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে উত্তোলন করা যাবে। নতুন কার্যক্রমটি দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং বাজারে পেঁয়াজ সহজলতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি