September 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, December 1st, 2023, 8:04 pm

‘অনেক বেদনা হজম করে বিনোদন বিলিয়ে বেড়াই’

অনলাইন ডেস্ক :

‘আমরা যারা পর্দায় কাজ করি, আমাদের গল্পও অনেকের জীবন ছাপিয়ে যেতে পারে। সে গল্পটা সাধারণ মানুষ জানে না। আমাদেরও অনেক কষ্ট, অনেক বেদনা ও দুঃসময় যায় নিজেদের জীবনে। যেটা আমরা নিজেরাই হজম করি। হজম করে আপনাদের সামনে হাসিমুখে বিনোদন বিলিয়ে বেড়াই।’ এভাবেই ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি দেখে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশার নিজেদের জীবনের গল্পে আবর্তিত সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। মুক্তির দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা, প্রযোজক, সিনেমার কলাকুশলীরা ও শোবিজের অনেক তারকা। সিনেমাটি দেখার পর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমাদের জীবনের গল্প। আমরা যারা এ মাধ্যমে কাজ করি, আমাদের গল্পও অনেকের জীবন ছাপিয়ে যেতে পারে। সে গল্পটা সাধারণ মানুষ জানে না। আমাদেরও অনেক কষ্ট, অনেক বেদনা ও দুঃসময় যায় নিজেদের জীবনে। যেটা আমরা নিজেরা হজম করি। হজম করে আপনাদের সামনে হাসিমুখে বিনোদন বিলিয়ে বেড়াই। এই গল্পটা দেখতে দেখতে অনেকবার আমার চোখ ভিজে গেছে।

মনে হয়েছে, এটা আমার নিজের গল্প। কারণ এটা বিশ্বাসের, সত্য গল্প, যেটি দর্শক দেখতে পারবে। অনেক সময় আমাদের জীবনের অনেক মুহূর্ত দর্শকদের প্রভাবিত করে। ভালো কিছু চিন্তা করার সুযোগ দেয়।’ সিনেমাটি প্রসঙ্গে ইরেশ যাকের বলেছেন, ‘ফারুকীর সাথে আমার একটা মিল আছে, আমরা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় বাবা হয়েছি। বাবা-মায়ের দুর্বলতা খুব সুন্দরভাবে এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। জীবনে এত দূর এসে আমিও অনেকটা প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু সন্তানের জন্য যে সেক্রিফাইস, যে ভয়, নিজেদের পরিবর্তন করা- এগুলো প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্প। আর এখন পর্যন্ত আমার কন্যা আমাকে যতটা সুখ, শান্তি, ভালোবাসা, আনন্দ দেয়। এটার মতো জীবনে আর কিছু খুঁজে পাইনি আমি। তাই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফিও দর্শকের ভালো লাগবে।’

অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ বলেন, ‘এটা ভীষণ একটা ইমোশনের গল্প। খুব ভালো লেগেছে। তাদের জীবনের ঘটনা, এতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে।’ ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমায় প্রথমবার পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন ফারুকী। সিনেমায় ফারুকী ও তিশার সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ আরো অনেকে।

‘অটোবায়োগ্রাফি’র সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তাহসিন রহমান, সম্পাদনার কাজটি করেছেন মোমিন বিশ্বাস। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রিপন নাথ ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন পাভেন আরিন। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহাব নুরুন নবী। সিনেমার শিল্পীদের ক্যামেরায় অনন্য ও বাস্তবরূপে তুলে ধরেছিলেন দুই নারী। তারা হলেন- মেকআপের আতিয়া রহমান ও কস্টিউমে ইদিলা ফরিদ তুরিন। প্রায় ৮২ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই সিনেমা চরকিতে মুক্তি পেয়েছে। চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-এর প্রথম সিনেমা এটি।