November 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, March 17th, 2023, 9:52 pm

বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় হ্রাস পাচ্ছে রাজস্ব আয়

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি কমে গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৯৪১ দশমিক ৩ টন পণ্য আমদানি কমেছে। অথচ আগের অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৯ দশমিক ৮০ টন। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৮ দশমিক ৫ টন। নির্ধারিত এ সময়ে কাস্টমের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। সেখানে আদায় করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত বছরে (২০২১-২২) বেনাপোল কাস্টম হাউজে ৫৫৮ কোটি ৮ লাখ টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছিল। আর অর্থবছরটিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ। ওই বছর ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সূত্র জানায়, কাস্টমসের নানা হয়রানি আর বন্দর ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের কারণে অনেক ব্যবসায়ীই বেনাপোল ছেড়ে অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীদের বাধ্যতামূলকভাবে কাস্টমসকে টাকা দিতে হয়। তা না হলে বিভিন্ন অজুহাতে আমদানিকারকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তাছাড়া সরকার এলসি করতে শতভাগ মার্জিন দেয়ার নিয়ম করেছে। ফলে কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এতে আমদানির সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে দুরবস্থায় রয়েছে। এখন আমদানিকারকরা চরম বেকায়দায় পড়েছে। একে তো বাণিজ্য ভালো নেই, তার ওপর পণ্য আমদানি করতে না পারায় আমদানির সঙ্গে জড়িতরা আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ছে। মূলত এলসি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে গেছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বেনাপোল দিয়ে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বর্তমানে ডলার সংকটে সরকার এলসিতে শতভাগ মার্জিন শর্ত দিয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলছে না। যে কারণে চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে আমদানি কমে গেছে। আর আমদানি কমলে রাজস্বও কম আসবে এটাই স্বাভাবিক।