October 8, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, May 11th, 2022, 8:58 pm

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি:

ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৫ দিন ধরে ভারত থেকে আসছে না পেঁয়াজ। ফলে খুচরা বাজারে সরবরাহ কমায় ফের দাম বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। সরেজমিনে বুধবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ছোটগুলো ২৩ থেকে ২৫ টাকা আর বড়গুলো ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে আগের মতো ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। আড়তে ভারতীয় যে পেঁয়াজ ২৩-২৫ টাকা কেজি, খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজ ২৫-২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। হিলি বাজারের পাইকারি আড়তদার আতাউর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা ভারতীয় পেঁয়াজ ১৪ থেকে ১৬ টাকায় কিনেছি। গত কয়েক দিন থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহ কম। ফলে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি প্রকার ভেদে ১২ থেকে ১৪ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাকিল হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে সকাল বিকেল ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়লে আবারো দাম কমবে। বর্তমানে বাজারে খুচরা ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে ১ হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এরপর ঈদের ছুটি শেষে ৭ মে বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঈদের আগে বন্দরে পেঁয়াজ ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর-রশিদ বলেন, চলতি বছর ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় রমজানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। এরপর চলতি মাসের ৫ মে থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের (আইপির) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। আমদানি হলে আবারো ভারতীয় পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালেই থাকবে।