অনলাইন ডেস্ক :
পার্থক্যটা মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময়ের। আইপিএলের পঞ্চদশ আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা এনে দিতে পারেননি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আইপিএলের মাঝেই টেস্ট দলের কোচ হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। নতুন দায়িত্ব নিয়েই টানা চার ম্যাচে অভাবনীয় রান তাড়া করে জয়! আইপিএলের ব্যর্থ কোচ থেকে ম্যাককালাম হয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের সফল টেস্ট দলের কোচ। ম্যাককালামের দেওয়া স্বাধীনতা কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটাররা উপভোগ করেছিলেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। বেন স্টোকসরাও সেই একই স্বাধীনতা আরও বেশি উপভোগ করছেন এবং তারা সেটা কাজেও লাগাতে পেরেছেন। ফলশ্রুতিতে একের পর এক টেস্ট সিরিজ হারা ইংল্যান্ডই শেষ চার টেস্টে জয়ী। কোচ ম্যাককালামের জমানায় এখনও পর্যন্ত ড্র বা পরাজয় নেই। কলকাতার কোচ ম্যাককালামের সাফল্য নেই। কিন্তু কলকাতা থেকে সোজা লন্ডনে পৌঁছতেই ধরা দিচ্ছে সাফল্য। সব সময়ই নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করা ম্যাককালাম প্রথমবার কোনো জাতীয় দলকে কোচিং করাচ্ছেন। এর আগে তার কোচিং অভিজ্ঞতা বলতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। ক্রিকেটজীবনে মারকুটে ব্যাটার হিসাবে পরিচিত ম্যাককালাম তার সেই মানসিকতা ইংলিশ ক্রিকেটারদের মনেও ঢুকিয়ে দিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে স্টোকস সগর্বে বলতে পারেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারালাম। ম্যাককালাম ক্রিকেটারদের উপর কিছু চাপিয়ে দেন না। নিজের মতো খেলার স্বাধীনতা দেন। তিনি আজীবন আগ্রাসী ক্রিকেটে বিশ্বাস করেছেন। আস্থা রেখেছেন। আগ্রাসন দিয়েই বিপক্ষকে দুমড়ে দিতে চেয়েছেন। কোচ হিসেবেও তিনি সমান আগ্রাসী। ম্যাককালাম নাইটদের হাতে ধরে নতুন কিছু শেখাননি। ইলিশ ক্রিকেটারদেরকেও কিছু শেখাচ্ছেন না। কারণ এই পর্যায়ের ক্রিকেটে বিশেষ কিছু শেখানোর থাকে না। দলের পরিকল্পনা, রণকৌশল তৈরি, ক্রিকেটারদের সাহস দেওয়া, পাশে থাকাটাই আসল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা