অনলাইন ডেস্ক :
গত মাসে দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন নাহিদা আক্তার। এর পুরস্কার হিসেবে তিনি পেলেন আইসিসি ‘প্লেয়ার অব দা মান্থ’ স্বীকৃতি। মেয়েদের ক্রিকেটে এই স্বীকৃতি পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি তিনি। আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার নারী ও পুরুষ ক্রিকেটে নভেম্বরের মাসের সেরা খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করে। সেরা হওয়ার পথে নাহিদা পেছনে ফেললেন স্বদেশি ফারজানা হক ও পাকিস্তানের স্পিনার সাদিয়া ইকবালকে। অক্টোবরেও সেরার লড়াইয়ে ছিলেন নাহিদা। সেবার তিনি হেরে যান হেইলি ম্যাথিউসের কাছে। ছেলেদের ক্রিকেটে মাস সেরার পুরস্কার জিতেছেন ট্রাভিস হেড। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ সেরা পারফরম্যান্সের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের এই স্বীকৃতি পাওয়া একরকম অনুমেয়ই ছিল।
তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ভারতের মোহাম্মদ শামিকে। চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিক নাহিদা। অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেন তিনি। বাংলাদেশের রেকর্ড ৮ রানে ৫ উইকেটসহ তিন ম্যাচে ৮ শিকারে ওই মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে জায়গা করে নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ছন্দ ধরে রাখেন নভেম্বরের ওয়ানডে সিরিজে। প্রথম ম্যাচে ৩০ রানে ৩ উইকেটের পর শেষটিতে ২৬ রান খরচায় তিনি ধরেন আরও তিন শিকার। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচে তার কাঁধে পড়ে সুপার ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব। কঠিন সেই পরীক্ষায় স্রেফ ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। দলকে দেন জয়ের স্বাদ।
তিন ম্যাচে স্রেফ ১৪.১৪ গড়ে ৭ উইকেটের সৌজন্যে সিরিজসেরার পুরস্কারও ওঠে বাঁহাতি স্পিনারের হাতে। সেরার পুরস্কার পেয়ে আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নাহিদা। “মুহূর্তটা দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বিশেষ এই প্যানেলের কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া আমার জন্য অনেক বড় কিছু। আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ পুরস্কার আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।” এতবড় স্বীকৃতি পাওয়ার দিনে দলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানালেন ২৩ বছর বয়সী স্পিনার।
“সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে আমি খুব খুশি। আমার ওপর সবসময় বিশ্বাস রাখায় অধিনায়ক, কোচ ও সতীর্থদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। তারা আস্থা রাখার ফলে আমি শক্ত দলের বিপক্ষে, চাপের মুখে নিজের সহজাত খেলা খেলতে পেরেছি।” গত মাসে ভারত বিশ্বকাপের নক-আউট পর্ব রাঙিয়ে প্রথমবার মাস সেরার স্বীকৃতি পেলেন হেড। এই পুরস্কার জেতা দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান তিনি। ২০২১ সালের
নভেম্বরে দেশটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। হাতের চোট থেকে সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেন হেড। পরে তিনিই হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের নায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ও ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাঁহাতি ওপেনার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বল হাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে স্রেফ ৪৮ বলে ৬২ রান করেন হেড। পরে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা