নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দেশে বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। এ কারণে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী নভেম্বরের শুরুতে ও ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এসব পরীক্ষার সময় পেছানো হবে না বলেও জানান তিনি। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক্লাসে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে শোনা গেছে। বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে। তারা সেসব স্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রাক-প্রাথমিকস্তর খোলার বিষয়ে এখনো কিছু চিন্তা করা হয়নি। আপাতত তারা বাসায় থেকে পড়াশোনা করবে। তিন সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডা. দীপু মনি বলেন, যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে এখনো বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি, সে কারণে আগামী নভেম্বরের শুরুতে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে করোনা মহামারি বড় আকার ধারণ করলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। এখনো অতিমারি শেষ হয়নি। যে কেউ যে কোনো সময় করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। বড় ধরনের মহামারি দেখা দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যদি হয় আমরা ব্যবস্থা নেব। এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের সংবাদ পাওয়া গেছে তার মধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে, এ বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষার্থীর করোনা আক্রান্তের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, আমাদের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে সমস্যা হয়েছে, বিশেষ করে মানিকগঞ্জের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারা গেছে। আমরা সেই কেসটি নিয়ে সেখানকার সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। স্কুল খোলার পর সেই শিক্ষার্থী মাত্র একবার ক্লাসে এসেছিল। তার ৬-৭ দিন পর আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মারা যায়। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। কেরানীগঞ্জে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর করোনা আক্রান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খবর পাওয়ার পরে আমরা ওই ক্লাসের সব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা করেছি। অন্য কারও মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। দীপু মনি বলেন, আমাকে অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানাচ্ছে এই স্কুলে এতোজন আক্রান্ত, ওই স্কুলে এতোজন অসুস্থ। আমি খোঁজ নিচ্ছি, অনুসন্ধান করছি, কিন্তু এমন কিছুর সত্যতা পাইনি। তবে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। কোনো অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি ও ব্যবস্থা নিচ্ছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন প্রাকপ্রাথমিকে ক্লাস শুরুর চিন্তা করা হচ্ছে। আপাতত তারা বাসায় থেকে টিভি ও অনলাইনে ক্লাস করবে। আগামী তিন সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ