নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার শুরু হয়েছে এবং পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সাধারণত প্রতি বছর এ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় এবং ২৭ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর আগের বছর এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গ্রুপ ভিত্তিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিদেশ থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৬৭৯টি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধ করতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি করা হবে। যদি কোনো আইডিকে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
১৩ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি