অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ বলেছেন, ওড়িশার তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য বৈদ্যুতিক সিগন্যালের একটি ত্রুটি দায়ী। এই সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই ভুল লাইনে চলে যায় একটি ট্রেন। রোববার (৪ জুন) তিনি দুর্ঘটনার এই কারণ ব্যাখ্যা করেন। গত শুক্রবারের এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে একটি ট্রেনকে মূল লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
তখন ট্রেনটি লুপ লাইন নামে পরিচিত আরেকটি লাইনে চলে যায় এবং সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ভারতের রেলমন্ত্রী বলেন, কে এই কাজ করেছে এবং কেন এই কাজ করা হয়েছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। ওড়িশার এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেছেন, রোববার (৪ জুন) সকালে একটি স্কুলে আরও পাঁচটি মরদেহ আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের কাছের স্কুলটিকে মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আর কত মরদেহ আসতে পারে তা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। দুর্ঘটনার কারণ ও প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের রেলমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হতে দিন।
এই মুহূর্তে মন্তব্য করা উপযুক্ত হবে না। গত শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সেখানে উদ্ধার কাজ খতিয়ে দেখেছেন এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৫ সালে। দিল্লির কাছে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে ৩৫৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। ২০১৬ সালে অপর এক দুর্ঘটনায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পড়লে ১৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন। ভারতের বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য পুরনো সিগন্যাল ব্যবস্থা বা মানুষের ভুলকে দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু