September 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 22nd, 2023, 7:55 pm

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে পানি বাড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

উজানের পাহাড়ি ঢল, টানা বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন নদীতে বাড়ছে পানি। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়কের অংশ ও ফেরিঘাট। ফলে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বন্ধ করে দিয়েছে ফেরি চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা।

কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ বছরে ছয়মাস সড়কপথে যাতায়ত করে জেলা শহরে। এবার হাওরে কিছুটা বিলম্বে পানি আসায় বুধবার (২১ জুন) হাওরাঞ্চলের সকল (র্পাঁচটি) ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর।

ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে পড়ায় ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। ফলে, চলাচল করেনি গাড়ি, বিপত্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বালিখলা হতে মিঠামইন পর্যন্ত ও চামড়াঘাট হতে ইটনা পর্যন্ত সড়কে ভেঙে ভেঙে নৌকা ও অটোরিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে যাত্রীদের।

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় হাওরাঞ্চলে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এখনও নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ-মিঠামইন সড়কের বালিখলা ও কামালপুর ফেরিঘাট, করিমগঞ্জ-ইটনা সড়কের চামড়া ঘাট, বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাট এবং সংশ্লিষ্ট ডুবো সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে পড়ায় ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। এতে, যাত্রীরা ছোট ছোট নৌকা ও অটোরিকশা করে জেলা শহরে যাতায়াত করে।

অষ্টগ্রাম উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের বায়েজিদ মিয়া বলেন, শুষ্ক মৌসুমী আমরা জেলা শহরে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি। বুধবার মিঠামইন এসে দেখি ফেরি বন্ধ, বাধ্য হয়ে ভিন্নভাবে কিশোরগঞ্জ যেতে হয়েছে।

মিঠামইন সদর ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক মমিন উল্লাহ (২৩) বলেন, সড়ক ডুবে যাওয়ায় আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব। অটোচালিয়ে আমার সংসার চলে। এখন এই পথে মানুষ কম আসবে, রুজিরোজগার কম হবে, বলা যায় বেকার থাকব। কষ্টে চলতে হবে বর্ষার সময়।

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, হাওরের সবগুলো ফেরিঘাট বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাওরের অনেক রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে। হাওরাঞ্চলের পরিবেশে ফেরি চালু করার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই, সকল ফেরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

—ইউএনবি