কুবি প্রতিনিধি:
“শিক্ষা হওয়া উচিত গঠনমূলক, অর্থপূর্ণ। প্রকৃত শিক্ষা এমন হবে না যা ধ্বংসাত্মক। আজকের এই স্কলারশিপ মূলত শিক্ষা জীবনে শিক্ষার্থীদের সাফল্য, প্যাশন, অধ্যবসায়ের স্বীকৃতিস্বরূপ। এই স্বীকৃতি তাদের বন্ধুবান্ধবদেরও অনুপ্রাণিত করবে। আমি প্রত্যাশা করি মেধাবী শিক্ষার্থী হিসাবে তারা কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে। এমনকি তারা সকল সেক্টরেই নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হওয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে জাতীয় ও বৈশ্বিক সম্পদ হিসাবে প্রমাণ করবে।”
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমনভাবে লেকচার দিতে হবে যেন এটা কেবল শিক্ষকরাই নয়, শিক্ষার্থীরাও বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীদের বই মুখস্ত করানো যাবে না। তাদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে যেন তারা কোন কিছু বিচার করতে পারে, যুক্তি খন্ডন করতে পারে, নতুন কিছু পরিকল্পনা করতে পারে।
মূলত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে আয়কৃত অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৩৭ জন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে ৮হাজার ৫০০ টাকা হারে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ-২০২২ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার মুক্তমঞ্চে আয়োজিত স্কলারশিপ চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুবির আইকিউএসির পরিচালক ড. মো: রাশিদুল ইসলাম শেখ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. মো: হুমায়ূন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ ড. মো: আসাদুজ্জামান। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিলা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন কিছুর সূচনা করার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এই স্কলারশিপ শিক্ষার্থীরা যেমন সম্মানিত হয়, তেমনি তারা দায়িত্বশীলও হয়ে উঠে। যা মূলত মেধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করা বা সর্বোপরি দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, “মাত্র ৮৫০০ টাকা এককালীন দিয়ে শিক্ষার্থীদের সচ্ছলতা ফেরানো সম্ভব নয়। আমরা এই অ্যামাউন্টটা দিচ্ছি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মেধার একটা স্বীকৃতিস্বরূপ যেন তারা উৎসাহিত হয় এবং তাদের এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খলিল আহাম্মদ।
উল্লেখ্য, এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অসচ্ছলতা ও মেধাতালিকার ভিত্তিতে ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা