খাগড়াছড়িতে ৮০ এর দশকে নির্মিত বেইলি সেতুগুলো এখন পাহাড়ি সড়কের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব সেতুতে পাঁচ টনের বেশি মালামাল নিয়ে চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ধারণ ক্ষমতার ৫ গুণ বেশি মালামাল নিয়ে যাতায়াত করছেন চালকরা। এতে অনেক সময় সেতু ভেঙে দুর্ঘটনা হয়। বন্ধ হয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগও। তবে সংকট সমাধানের পর্যায়ক্রমে সব বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জন পথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় ঝুঁকিপুর্ণ বেইলি সেতুর সংখ্যা ১০টি।
পর্যটন ও কৃষি অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে পাহাড়ি সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। পাহাড় থেকে কাঠসহ বিভিন্ন ভারি মালামাল নিয়ে যাতায়াত করে।
চালকরা জানান, তাদের বাধ্য হয়ে ধারণ ক্ষমতার বেশি মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ঘটনা রোধে বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
তারা জানান, এ সব ব্রিজে পাঁচ টনের বেশি মালামাল নেয়া নিষেধ। কিন্তু আমাদের খালি গাড়ির ওজনই ৯ টন। মালামালসহ হয় ২২ টন। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি চালাই। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পাকা সেতু হলে আমাদের দুর্ভোগ দূর হত।
খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কর্মাস এর সহসভাপতি মো. কাশেম বলেন, খাগড়াছড়ির বেইলি সেতুগুলোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। পাহাড়ে বনজ, কৃষি ও পর্যটন অর্থনীতি বিকাশের কারণে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। এখন এসব সেতুর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পাহাড়ি সড়কে যানচলাচল বাড়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, গত কয়েক বছরে খাগড়াছড়ির সড়ক বিভাগের আওতাধীন ৭০টি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বেইলি সেতুগুলোতে পাকা সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বেইলি সেতুর বদলে পাকা সেতু নির্মাণের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্প পাস হলে পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি