খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় পাঁচটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট, দুটি বসতবাড়ির পাটকাঠির মাচায় আগুনও ধরিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন গাছপালাও কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াচড়া ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউসার ভূঁইয়ার জমিতে বালিয়াচড়া গ্রামের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করত। সেখানে সোনাখোলা গ্রামের কিছু লোকজন খেলায় বাধা দেয়। এ নিয়ে গেল সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের কয়েকজন যুবক বালিয়াচড়া গ্রামের মিরাজ, আলামিন, সাঈদ ও নাঈম নামে কয়েকজনকে মারধর করে। এ বিষয়ে সোনাখোলা ও বালিয়া চড়া গ্রামের মাতব্বররা সালিশ বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু মীমাংসার আগেই মঙ্গলবার সকালে দুই গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ৩০ জন আহত ও বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এছাড়া ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুই গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি