May 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, October 9th, 2023, 7:34 pm

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস

রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘প্রতিযোগিতা’ দেশগুলোকে কোনো কিছু বেছে নিতে বাধ্য করার জন্য নয়; বরং এটি সম্মান, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রস্তাব করা।

তিনি বলেন, ‘আমার আশা এই অঞ্চলে আমাদের প্রতিযোগিতার অর্থ হলো আমরা যা করতে চাই স্পষ্টভাবে আমাদের সেসব লক্ষ্য ফুটিয়ে তুলতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর; বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তারা ‘একসঙ্গে’ আছে।

গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্মুক্ত সংলাপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করছে যেটি শুধু টিকে থাকে না, বরং উন্নতি লাভ করে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌম বৈদেশিক নীতির বিশেষাধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে, আমরা এমন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলি যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আকাঙ্ক্ষা এবং বিশেষ করে এই প্যানেলে থাকা আমাদের বন্ধুদের ক্ষেত্রে, অংশীদারিত্ব ও জোট যা সীমানা অতিক্রম করে এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবশ্যই সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির এলাকা হতে হবে। এই অঞ্চলের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল।’

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আন্তরিকভাবে একমত।

ভবিষ্যতের বিষয়ে হাস বলেছেন, সেই স্বাধীনতা, সেই উন্মুক্ততা রক্ষা করা সবার স্বার্থে। ‘এবং আমি সেই বৈচিত্র্যের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, যা ইন্দো-প্যাসিফিককে শুধুমাত্র এই অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি গতিশীল ইঞ্জিনে পরিণত করবে।’

তিনি বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শক্তিশালী অর্থনৈতিক একত্রীকরণ এবং মেরিটাইম কমন্সের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য একে অপরের সঙ্গে এবং এই অঞ্চলের অন্যদের সঙ্গে আমাদের জোট ও অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করতে সম্মিলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি আমাদের পদ্ধতির একেবারে মূল বিষয়।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানায়।

হাস বলেন, এ ছাড়াও আমরা জোর দিচ্ছি, আমরা যেমন একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত অঞ্চল খুঁজছি, তেমনি বিশ্বাস করি আমরা এই নীতিগুলো নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করলেই আমরা সত্যিকার অর্থে এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো পূরণ করতে পারি।’

—-ইউএনবি