November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, February 26th, 2024, 3:39 pm

গরু চুরির মামলায় যুবলীগ নেতাসহ আটক ৩

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নে গরু চুরির মামলায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে হাজীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সালাম মিয়া ও জুবেদ মিয়াকে শুক্রবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে ও গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলীকে পাশ্ববর্তী শমসেরনগর এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটক সালাম ও লিয়াকতকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গরু চুরির ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ৬জনকে অভিযুক্ত করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী সুলতান আহমদ।

মামলার আসামীরা হলেন, হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপাড় এলাকার আকল মিয়ার ছেলে লিয়াকত আলী (৩৭), জহুর আলীর ছেলে ও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গুলজার আহমদ (৪০), মৃত ওয়াজিদ আলীর ছেলে জুবেদ মিয়া (৫০), রমজান আলীর ছেলে সালাম মিয়া (৩৫), পাইকপাড়া গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে মিনার আহমদ জাহিদ (২৪) ও কমলগঞ্জ উপজেলার রাধানগর গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে আব্দুল আহাদ (২৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপাড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রহিমের ছেলে সুলতান আহমদ গত ৩০ জানুয়ারি পরিবারের লোকজন নিয়ে রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৪টায় সুলতানের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ষাড় গরু ও সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ১ গাভী গরু চুরি করে নিয়ে যায় লিয়াকত আলী, গুলজার আহমদ, মিনার আহমদ জাহিদ, জুবেদ মিয়া, সালাম মিয়া, আব্দুল আহাদসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন।

ভুক্তভোগী সুলতান আহমদ বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী ও গরু খামারী। আসামীদের সাথে আমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। গত ৩০ জানুয়ারি আমার গোয়াল ঘর থেকে দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় আসামীরা। চুরির বিষয়টি আমার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। এরআগে ২০২৩ সালে ৩ লাখ টাকা মূল্যের আমার আরো ৩টি গরু চুরি হয়। ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল আলীম বলেন, চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।