November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 11th, 2022, 9:07 pm

চিনি-ডাল-আটা ও মুরগির দাম বেড়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাজারে দাম বেড়েছে চিনি,ডাল, আটা, ও মুরগির। এ ছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি ৯০ টাকা, গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। টমেটো ১৬০, শিম ১২০-১৩০, করলা ৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া চালকুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৫০, বরবটি ৮০ টাকা কেজি। এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। বাজারে আলুর কেজি ৩০-৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা। রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে চিনির দামও। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১০-১১৫ টাকা। প্যাকেট চিনি কেজি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেড়েছে আটার দাম। খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৬৫-৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুরের ডালের দাম কেজিতে বেড়ে ১০ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মসুরের ডালের কেজি ছিল ১১০-১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। আটা, চিনি ও ডাল বিক্রেতা নাদিম বলেন, হঠাৎ করেই সব পণ্যের দাম বেড়েছে। শোনা যাচ্ছে আরও বাড়বে। বাজারে ডালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বাড়ছে। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা ও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮ টাকায়। এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ খাসি মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি। বাজারে বেড়েছে মুরগির দামও। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। মুরগির বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, খামারি আর পাইকারদের অজুহাতের শেষ নেই। ছুটির দিনে বাজার করতে এসে চাকরিজীবী শফিক রহমান বলেন, আয়ের সঙ্গে কিছুতেই সংসারের খরচ চালিয়ে পেরে উঠছি না। আগে মাসে দুই-একবার ছুটির দিনে এক কেজি গরুর মাংস কিনতাম, আজকাল সবজি কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়। বয়লার মুরগি কেনাও সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে আমাদের মতো কম আয়ের মানুষের।