নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহামারিকালে এবারও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী এ প্রাণের মেলার পর্দা উঠে। তবে শুরুর প্রথম তিনদিন ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে না পড়লেও চতুর্থ দিনে জমে ওঠে বইমেলা। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দুপুর গড়ানোর আগেই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মেলা প্রাঙ্গণে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এদিন বেলা ১১টায় উন্মুক্ত করা হয় মেলা প্রাঙ্গণ। সকাল থেকেই ধীরে ধীরে বইমেলা ঘিরে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুর গড়াতেই সাধারণ ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বইয়ের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেককে তাড়াহুড়ো করে পছন্দের বই কিনে ফিরে যেতেও দেখা যায়। এদিন দুপুর ১২টার দিকে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে হাতেগোনা দু-একটা স্টলের এখনো নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এছাড়াও প্রথম দিকে যেসব প্রকাশনী স্টল নির্মাণের কাজ শেষ করেনি, ছুটির দিনের কথা মাথায় রেখে এরইমধ্যে তারাও স্টল প্রস্তুতের কাজ শেষ করেছে বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা।
বিকেল তিনটার দিকে দেখা যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ২নং ফটকের প্রবেশ মুখে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি। মেলায় আসা প্রত্যেকের মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করেই ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সুরক্ষা কর্মীরা। বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায়, মেলায় সর্বসাধারণের উপস্থিতি বাড়লেও সে তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি। অনেকেই স্টলগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন লেখকের বই দেখে দু-চার পৃষ্ঠা উল্টিয়ে বেরিয়ে আসছেন। কেউ কেউ দু-একটা বই কিনে নিচ্ছেন। আবার অনেকের পছন্দের লেখকের বই এখনো মেলায় আসেনি। তারা অন্য লেখকের বই দেখছেন। পরে হয়তো পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করবেন। আবার একশ্রেণির পাঠক একদিনে একসঙ্গে সব বই কেনার অপেক্ষায় আছেন। তারা মেলায় এলেও নেহায়েতই ঘুরাফেরা করে সময় কাটান। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, তরুণ-তরুণীদের অনেকে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। তাদের অনেকেই প্রায় প্রতিদিনই মেলায় এলেও কিছু বই কেনেন মেলার শেষ দিকে। বিভিন্ন স্টলে বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য দিন বইমেলা দুপুর ২টায় খুলে দিলেও শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন উপলক্ষে বেলা ১১টায় খুলে মেলার দ্বার। প্রকাশকেরাও ছুটির দিন ঘিরে স্টলে বইয়ের সংখ্যা বাড়িয়েছেন। বিক্রয়কর্মীদের ভাষ্য, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও সে তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি। তাদের প্রত্যাশা- দিন যত গড়াবে বাড়তে থাকবে ক্রেতার সংখ্যা। বাড়বে বই বিক্রিও।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম