অনলাইন ডেস্ক :
দুর্নীতির এক মামলায় দুদকের আইনজীবীর উপস্থিত থাকা নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে দুই বিচারপতি ভিন্নমত দিয়েছেন। এর ফলে ওই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এজলাস ত্যাগ করেছেন। দুই বিচারপতির ভিন্ন ভিন্ন মতের কারণে ওই দ্বৈত বেঞ্চের বিচারকাজ এখন বন্ধ আছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এমন ঘটনা ঘটে। বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারকের স্ত্রী কানিজ ফাতেমার মামলায় দুদকের কোনো আইনজীবী না থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের একজন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক কোর্টে রাখা যায় কি-না এ নিয়ে দুই বিচারপতির ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম জানান, দুদকে জনবল সংকট রয়েছে। এ কারণে কোর্টে সার্বক্ষণিক একজন অফিসার বসিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দুদকের মামলা যারা ঠিকমতো তদন্ত করতে পারছেন না তাদেরকে কোর্টে এনে বসিয়ে রাখুন। তখন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান বলেন, দুদকের কী আর কাজ নেই, একজন অফিসার এখানে এসে বসে থাকবেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এত কথা বললে তো সমস্যা। কনিষ্ঠ বিচারপতি বলেন, তাহলে বেঞ্চে দুই বিচারপতি রাখার দরকার কী? এরপর কনিষ্ঠ বিচারপতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে এজলাস ছেড়ে চলে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। এদিন সকাল পৌনে ১১ টার দিকে (১০টা ৪৭ মিনিটে) এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওই দুই বিচারপতি আর একসঙ্গে বেঞ্চে বসেননি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সরকারি জমি আত্মসাতের ঘটনায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুকের স্ত্রী কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর ওই রুল জারি কারেন আদালত। একইসঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানাধীন ইয়ারপুর মৌজার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ সরকারি খাসজমি থেকে ভুয়া দানপত্র দলিলের মাধ্যমে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ সম্পত্তি আত্মসাৎ করার ঘটনা প্রমাণ পায়। এ ঘটনায় জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের ৩০ মে কানিজ ফাতেমাসহ আটজনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয় ১৯৯৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের উপপরিচালক নিরাপদ স্বর্ণকার ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি সবার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১৯ মার্চ বিশেষ দায়রা জজ আদালত, নোয়াখালী সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় জামিনে আছেন কানিজ ফাতেমা।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম