নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকাসহ সারাদেশে করোনার সংক্রমণরোধে প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি দ্রুত এগিয়ে চলছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ২১ হাজার ৭৮৩টি টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নয় কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৫৬টি, দ্বিতীয় ডোজ ছয় কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯২২টি এবং বুস্টার ডোজ ছিল ২১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৫টি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন নয় লাখ ৬০ হাজার ৬৩ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৯১৮ জন, দ্বিতীয় ডোজ ছয় লাখ ২১ হাজার ৪৭৫ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৮৫ হাজার ৭০০ জন। স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার দেশের ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা অর্থাৎ ১১ কোটি ৭০ লাখ জনগোষ্ঠীকে (প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ) টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে টিকাদান কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়িয়েছে। রাজধানী, বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি তৃণমূল পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকেও টিকা কার্যক্রম পৌঁছে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমদিকে সংকট থাকলেও বর্তমানে টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে ১২ বছরের বেশী বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সারাদেশের আনাচে-কানাচে বাদ পড়া ভাসমানসহ সব জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। শুরুর দিকে শুধু ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হতো। পর্যায়ক্রমে ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হতে থাকে। এ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার ৯৫২টি। এর মধ্যে এক কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮৭টি প্রথম ডোজ, এক কোটি ছয় লাখ ১৩ হাজার ৪৪৩টি দ্বিতীয় ডোজ এবং নয় লাখ ৪৯ হাজার ১২২টি বুস্টার ডোজ ছিল। ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ৪০টি। এর মধ্যে এক কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৮ জন প্রথম ডোজ, ৫৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং তিন লাখ ২১ হাজার ২৫৪ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছে নয় কোটি ৭৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫২টি। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ ৫ হাজার ৫৮২ জন প্রথম ডোজ, চার কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং চারজন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। মডার্নার টিকা দেওয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩৫টি। এর মধ্যে ৩২ লাখ ১৭ হাজার ৫০৭ জন প্রথম ডোজ, ২৬ লাখ ৭২ হাজার ৩০৩ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং আট লাখ ৯৩ হাজার ৮২৫ জন বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছেন। সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হয়েছে ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৯টি। এর মধ্যে ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৭ জন প্রথম ডোজ এবং ১০ লাখ ৯৯ হাজার ২২২ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছেন ৭৪৫ জন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম