পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ পৃথিবীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুস্পষ্ট ও সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পালাউয়ের কোররে ৭ম ‘আওয়ার ওশেন কনফারেন্স’ এ বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর সুরক্ষার লক্ষ্যে আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের মহাসাগর ও ইকোসিস্টেম রক্ষা ও সংরক্ষণ করতে হবে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র দূষণ, সমুদ্র সম্পদের বেপরোয়া আহরণ ও উপকূলীয় আবাস ও জলজ সম্পদ ধ্বংস করার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ইকোসিস্টেম সেবা প্রদানে মহাসাগরের সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডে মহাসাগর, সাগর ও সমুদ্র সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে এবং এগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।’
ড. মোমেন আরো বলেন, এসডিজি ১৪ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ অবৈধ, অনবহিত ও অনিয়ন্ত্রিত (আইইউইউ) মৎস্য শিকার বন্ধ করতে একটি ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন গ্রহণ এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একটি নতুন মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া নির্ধারণ করাসহ পাঁচটি নতুন প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।
অন্য তিনটি প্রতিশ্রুতি হচ্ছে- ২০২৩ সাল নাগাদ নিরাপদ জাহাজ রিসাইক্লিং নিশ্চিতকরণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২১ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য সুনীল অর্থনীতির আওতায় টেকসই উপায়ে সমুদ্র সম্পদ আহরণ।
ড. মোমেন বলেন, ‘উন্নত জীবনের লক্ষ্যে মহাসাগর ও সাগরের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য আমরা একটি নতুন পথ তৈরিতে পিছপা হবো না।’
১৩ থেকে ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই ৭ম আওয়ার ওশেন কনফারেন্সটি যৌথভাবে আয়োজন করছে রিপাবলিক অব পালাউ ও যুক্তরাষ্ট্র। সম্মেলনে অন্যান্যের সাথে অংশ গ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সিনেটর জন এফ কেরি।
জন কেরির আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
—বাসস
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম