অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর মিরপুর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ইশরাত রফিক ঈশিতার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কথিত এ তরুণ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক ঈশিতা ও তার সহযোগী দিদারের নামে সকালে র্যাব-৪ বাদী হয়ে মিরপুরের শাহআলী থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে। সোমবার (২রা আগষ্ট) র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শাহ আলী থানায় মামলাগুলোর মধ্যে একটি ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, একটি প্রতারণা এবং একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৩, ২৪ ও ৩৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হন ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডিগ্রী দেশি-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি পরিচয় দেয়া বহুমুখি প্রতারক ইশরাত রফিক ঈশিতা (আইপিসি)। গত রোববার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল এ- মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৪ এর অভিযানে গত রোববার সকালে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ হতে ঈশিতাকে (৩৪) সহযোগী শহিদুল ইসলাম ওরফে দিদারকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব জানায়, ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হতে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-২০০৬) এমবিবিএস সম্পন্ন করে ২০১৪ সালে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগদান করেন। তবে চার মাস চাকুরি না করতেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকুরিচ্যুত হন উচ্চাভিলাষী ইশরাত রফিক ঈশিতা। এরপরই শুরু তার বহুমুখী প্রতারণা। নিজেকে চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে পরিচয় দেন। এমপিএইচ, এমডি, ডিও’সহ নানা ভুয়া বিশেষজ্ঞ ডিগ্রী ব্যবহার শুরু করেন। ভুয়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ হিসেবেও বিভিন্ন মতবাদ প্রচার করতে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন সাইটে চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ, আর্টিকেল বা থিসিস পেপার ভুয়া প্রকাশনাও ব্যবহার করেন।
রিমান্ড: এদিকে গ্রেপ্তার ডা. ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তার সহযোগী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২রা আগষ্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন শাহ আলী থানার দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ও সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা আসামিদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় তিনদিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম