November 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, April 21st, 2022, 8:09 pm

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা আগামীকাল থেকে শুরু

আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।

এর মধ্যে ১ম ধাপে ২২ জেলায় ও ২য় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং ৩ জুন ৩য় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১টি জেলায়।

বৃহস্পতিবার সচিবলয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০ উপলক্ষে আয়োজতি সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ২২ এপ্রিল প্রথমধাপে ২২ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৪ জেলার সব এবং আট জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০ মে দ্বিতীয়ধাপে ৩০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আট জেলার সব এবং ২২ জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া তৃতীয়ধাপে ৩১ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৭ জেলার সব এবং ১৪টি জেলার আংশিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০ অক্টোবর ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৩২ হাজার ৫৭৭টি সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছ; যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি স্থানীয় অসাধুচক্র শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এবার যেন সেটা না হয় সেটি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা অপর্যাপ্ত হলে বিভাগীয় কমিশনার/মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নারী পুলিশসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জনবলসহ মেটাল ডিটেক্টর সরবরাহসহ হ্যান্ড মেটাল ডিটেকটর দ্বারা পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করা হবে। এক্ষেত্রে নারী পরীক্ষার্থীদের মহিলা পুলিশ দ্বারা তল্লাশির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাকির হোসেন বলেন, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে নির্ধারিত আসন গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রের সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়া হবে। এ ছাড়া পুরুষ পরীক্ষার্থী ও মহিলা পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র যথাসম্ভব পৃথক করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের রঙিন ছবি ও স্বাক্ষর এবং রঙিন ছবিযুক্ত হাজির শিটের পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে দেখা হবে। এছাড়া ওএমআর শিটের পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে দেখা হবে। কোন পরীক্ষার্থী কোন সেটের প্রশ্ন পাবেন তা পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট আগে জানতে পারবেন। ভিন্ন সেটে পরীক্ষা দিলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমকি ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়রে সম্মানতি সচবি জনাব আমনিুল ইসলাম খান, প্রাথমকি শক্ষিা অধদিপ্তররে মহাপরচিালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, প্রাথমিক ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমকি শিক্ষা অধদিপ্তররে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

—ইউএনবি