অনলাইন ডেস্ক :
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শুক্রবার বলেছেন, ‘যদি প্রয়োজন’ পড়ে তাহলে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে ব্রিটেন। সাংবাদিকদের জনসন বলেন, আমি মানুষজনকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আফগানিস্তানের জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এজন্য প্রয়োজনে তালেবানের সঙ্গে কাজও করবো আমরা। খবর বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি আগের চেয়ে ‘কিছুটা ভালো’ এবং ‘স্থিতিশীল’ হচ্ছে। গত রোববার তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশ আসার আশায় শত শত মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনছে। তবে তালেবানদের বিরুদ্ধে মানুষজনকে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধা দেয়ার অভিযোগও শোনা যাচ্ছে।
জনসন বলেন, ব্রিটেন এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে উড়িয়ে এনেছে। তাদের মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিক এবং ব্রিটেনের হয়ে কাজ করা আফগানও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে তাকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এর আগে চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ২০ হাজার আফগানকে ‘দীর্ঘ মেয়াদে’ আশ্রয় দেবে। তবে প্রথম বছর ৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া হবে বলে জানায় তারা।
এদিকে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে অনলাইনে একটি বৈঠকে মিলিত হবেন জি-সেভেনের নেতারা। আফগানিস্তান সেনা সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমেরিকার তাড়াহুড়োর কারণে ওয়াশিংটন এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে বিরোধ বেড়েছে। মঙ্গলবার ফ্রান্সের দৈনিক লে মন্ডে জানায়, ‘আমেরিকার দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের কারণে ফাঁদে পড়েছে ইউরোপিয়ানরা’। গত শুক্রবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারর মার্কিন সিদ্ধান্ত একটি ‘ভুল’ ছিল।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২