অনলাইন ডেস্ক :
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনেহেগেনে জন্ম বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। উত্তর ইউরোপের দেশটিতে বাঙালি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। সেখানেই নিয়েছেন ফুটবল-দীক্ষা। নিজের জন্মভূমির প্রতি তার আলাদা টান থাকাই স্বাভাবিক। তাই রাজধানী কোপেনহেগেনের শপিং মলে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা যখন জানতে পারলেন, নিজে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। জঘন্য এই ঘটনা ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে বাংলাদেশকে অধিনায়ককে। রোববার কোপেনহেগেনের একটি শপিং মলে গুলি চালিয়েছে এক বন্দুকধারী। তিনজন নিহত হওয়ার পাশপাশি আহত হয়েছেন অনেকেই। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় জামালের মন ভীষণ খারাপ। ইউরোপের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কিছুতেই মানতে পারছেন না ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। বারবারই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখছেন। বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়ছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষণœ মনে জামাল জানালেন, ‘আসলে আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ডেনমার্ক তো শান্তিপূর্ণ দেশ। মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তিটি উগ্রবাদী কেউ। এটা আসলে মেনে নেওয়া যায় না।’ কোপেনহেগেনের এই শপিং মল থেকে জামালের বাসার দূরত্ব ১৫ মিনিটের। এই মিডফিল্ডার বাংলাদেশে থাকলেও পরিবার থাকে সেখানেই। এ ঘটনার পর জামালের মা ফোন করে কোপেনহেগেনের পরিস্থিতি অবহিত করেছেন। জামালের বর্ণনা, ‘মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। কী হচ্ছে সেখানে, বোঝার চেষ্টা করছি। তারা সবাই ঠিক আছে। ওই সময় আমার পরিবারের কেউ শপিং মলে ছিল না। আসলে আমার কাছে মনে হয়েছে, ওই সময় শপিং মলে লোকজন তুলনামূলক কিছুটা কম ছিল। সামার না হয়ে উইন্টার সিজন হলে হয়তো ক্ষতি বেশি হতে পারতো।’ এই ধরনের ঘটনা ঘটলে জামালের মন আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। কেননা ২০০৭ সালে বন্দুকধারীদের হামলায় তার শরীরে গুলি লাগে। কোমায় থাকতে হয়েছিল অনেক দিন। সেই গুলির চিহ্ন নিয়ে এখনও চলতে ফিরতে হচ্ছে তাকে। জামাল স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, ‘ছোটবেলার স্মৃতি ভুলি কী করে! এমন বন্দুকধারীর হামলার শিকার আমি নিজেই। তাই এমন ঘটনা ঘটলে নিজের কথা মনে পড়ে যায়। ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে চিন্তা হয়। আসলে এমন ঘটনা কোথাও যেন আর না হয়, সেটাই চাই। সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, এই প্রার্থনা করি।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা