May 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 7th, 2024, 8:43 pm

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করলেন দেবপ্রিয়

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিটিজেন প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশে তথ্য নৈরাজ্য এখন তথ্য অন্ধত্বে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সেই পরিস্থিতিরই প্রমাণ, কারণ শক্তিশালী দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠী বা সিন্ডিকেট সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।

মঙ্গলবার (৭ মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এফআরএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রয়াত সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের সম্মানে এ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা এবং সঠিক তথ্য পাওয়ার বড় কেন্দ্র।

তিনি বলেন, ‘বিবিএসের তথ্যের আগেও আমরা আমদানি-রপ্তানিসহ আর্থিক সূচকের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপর নির্ভর করতাম। এখন তথ্যগুলো কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যগুলো সাংবাদিকদের দেওয়োর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে গেল, এটা কি কোনো একদল প্রভাবশালীর সঙ্গে সমঝোতার ফল? এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনাম নষ্ট হবে।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, কেউ কেউ তথ্য পাচ্ছেন, আবার কেউ পাচ্ছেন না। আজকে ব্যবসায়ীরা তথ্য পাচ্ছেন, সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীকে তথ্য দিলে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দাম বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না।

‘সঠিক তথ্য প্রকাশ করা কেন সমস্যার মুখে পড়বে, কেন এটাকে বড় ধরনের নাশকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে? অর্থনৈতিক সাংবাদিকরা কীভাবে নাশকতাকারী হয়?’ তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জানতে চান তিনি।

সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেনকে স্মরণ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, প্রয়াত সম্পাদক ছিলেন সম্পূর্ণ পেশাদার ও শুদ্ধ সাংবাদিক।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘মোয়াজ্জেম সব সময় সততা, নৈতিকতা ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

—–ইউএনবি