আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বিকাশে দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন এই সংলাপে সহ-সভাপতিত্ব করবেন। সোমবার ঢাকায় আসেন ফিলিপ বার্টন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (উত্তর আমেরিকা) অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।
পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হলো এফসিডিও-এর সবচেয়ে সিনিয়র বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিক। পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে এটাই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।
তিনি ২০০৮ সালে এফসিও’র ডিরেক্টর, সাউথ এশিয়া পদে থাকাকালীন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার যে অঙ্গীকার, এই কৌশলগত সংলাপ তাকেই প্রতিফলিত করে।
যুক্তরাজ্য সরকারের মতে, এই সংলাপে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক; অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্ব; এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় আলোচনা করা হবে।
সেই সাথে এই সংলাপ দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কপ২৮ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করবে। এবং যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরবে।
ঢাকায় থাকাকালীন পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও যুব প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
চতুর্থ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপ ২০২১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ কৌশলগত সংলাপের সময় যুক্তরাজ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্ক-মুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের মাধ্যমে একটি মসৃণ ও সফল স্নাতক অর্জন এবং রপ্তানি- বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
যুক্তরাজ্য ডব্লিউটিওর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য বিধি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু বাণিজ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) এই বছরের জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। যা বাংলাদেশসহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করে এবং ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে।
ডিসিটিএস বাণিজ্য বৃদ্ধি, চাকরি বৃদ্ধি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, এই নতুন স্কিমটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি আধুনিক এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী অংশীদারিত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করুন: স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী দল: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিডি