নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুরুর ম্যাচে নৌবাহিনীকে ৬ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বসুন্ধরা কিংসের কাছে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। ওই ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ও বসনিয়ান ফুটবলাররা আলো ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা কাপে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে তাদের সেই ধার উধাও! ফলে পুলিশ এফসির বিপক্ষে জিততে বসুন্ধরাকে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিষ্প্রভতার পরও পেনাল্টি গোলে ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গতকাল শনিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে কোনোমতে ম্যাচ জিতেছে অস্কার ব্রুজনের দল। ব্রাজিলিয়ান রবিনিয়োর লক্ষ্যভেদে ১-০ গোলে পুলিশকে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে শেষ আট নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা। রবিনিয়ো-ফের্নান্দেস-ভ্রানিসরা আগের ম্যাচে ছিলেন দুর্বার। এই ম্যাচে এসে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেননি। কিছুটা নিষ্প্রভ মনে হয়েছে। বিল্ডআপ করে প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও নিজেদের ব্যর্থতায়, আবার প্রতিপক্ষের সজাগ দৃষ্টির কারণে ব্যবধান বাড়েনি। পুলিশ এফসি সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে। রক্ষণ জমাট রাখার পাশাপাশি চেষ্টা করেছে লক্ষ্যভেদ করার। যদিও কাজে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। বিশেষ করে, তাদের একটি প্রচেষ্টা ক্রসবারে লেগে ফিরলে পয়েন্ট পাওয়া হয়নি। ম্যাচ ঘড়ির ১৫ মিনিটে বসুন্ধরা এগিয়ে যায়। ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল নিজেদের সীমানায় বাধা দেন ফের্নান্দেসকে। স্পট কিক থেকে রবিনিয়ো সহজেই জাল কাঁপান। গোলকিপার মোহাম্মদ নেহাল বলের লাইনে ঝাঁপালেও নাগাল পাননি। ৩১ মিনিটে সুযোগ তৈরিন করেছিল পুলিশ। কিন্তু মোনায়েম রাজুর নিচু ক্রসে আমিরুদ্দিন শরিফী পাওয়ার আগেই বিশ্বনাথ পা বাড়িয়ে সুযোগ নস্যাৎ করে দেন। ৩ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে জার্মান ফরোয়ার্ড আদিল খুসখুসের জোরালো শট গোলকিপার জিকো পাঞ্চ করে প্রতিহত করে দলকে ম্যাচে রাখেন। বিরতির পরও বসুন্ধরা কিছু করতে পারেনি। বসনিয়ার ভ্রানিস প্রথাগত মিডফিল্ডার হলেও নাম্বার নাইন হিসেবে খেলেছেন। এই ম্যাচে নিজের ঝলক দেখাতে পারেনিনি। ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ভ্রানিসের জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে সমর্থকদের হতাশ হতে হয়। দুই মিনিট পর ফের্নান্দেসের ক্রসে ভ্রানিসের ৬ গজ দূর থেকে নেওয়া শট গোলকিপারের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। পুলিশ আবারও নিজেদের সামলে বসুন্ধরাকে চাপে রাখার চেষ্টা করে। ৭১ মিনিটে আল আমিনের মাটি গড়ানো শট গোলকিপার জিকো শুয়ে রুখে দেন। ৫ মিনিট পর খুসখুসের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট গোলকিপার জিকোর হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয়। যোগ করা সময়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। যার রেশে ইব্রাহিম ও রিমন দেখেন হলুদ কার্ড। এ ছাড়া চোট নিয়ে পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি বসুন্ধরার দুই ডিফেন্ডার কাজী তারিক ও তপু বর্মণ। তবে কষ্টার্জিত জয়ে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে ঠিকই।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা