April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, October 8th, 2021, 8:10 pm

ভেঙে পড়েনি বাংলাদেশ ফুটবল দল

অনলাইন ডেস্ক :

সাফে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রত্যাশা একটা ছিলই। অন্তত লড়াই করে আগের দুই ম্যাচের ছন্দটা ধরে রাখবে। তাহলে তৃতীয় ম্যাচ জিততে পারলে কিংবা ড্র হলে ফাইনালে ওঠার পথ সুগম হতো। কিন্তু আলী আশফাক-আলী ফাসিররা তা হতে দিলো কোথায়? ২-০ গোলে ম্যাচ হেরেছে অস্কার ব্রুজনের দল। তবে ম্যাচ হারলেও ভেঙে পড়েনি বাংলাদেশ। আগামী ১৩ অক্টোবর নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই। সেই ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনালে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত হবে। দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘মালদ্বীপ ম্যাচে লক্ষ্য ছিল জেতা কিংবা পয়েন্ট পাওয়া। সেটি হয়নি। তবে ম্যাচ হেরে মানসিকভাবে কেউ ভেঙে পড়েনি। আমাদের সুযোগ আছে। ১৩ অক্টোবরের ম্যাচ জিততে পারলে ইনশাআল্লাহ ফাইনালে খেলতে পারবো।’ ৭ দিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, যা মালদ্বীপের ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। হারের অন্যতম কারণ হিসেবে ক্লান্তিজনিত অবসাদকে দায়ী করেছেন কোচ! রহমতও সেটাই বলার চেষ্টা করেছেন, ‘ম্যাচের আগে দলের কেউই চাপ নেয়নি। বড় সমস্যা হলো, ৭ দিনের মধ্যে তিনটা ম্যাচ খেলছি। ওরা (মালদ্বীপ) বিশ্রাম পেয়েছে, ফ্রেশ লেগ নিয়ে নামতে পেরেছে। আমাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাচ খেলেছে। অনেকেই ক্লান্ত। যে কারণে পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। আশা করছি, সামনের দিকে ওভারকাম করতে পারবো।’ মালদ্বীপ ম্যাচে বাংলাদেশ চেয়েছিল প্রতিপক্ষকে মধ্যমাঠে ব্লক করে আক্রমণে যেতে। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। প্রথমার্ধে যাওবা রুখে দিতে পেরেছে, বিরতির পর হজম করতে হয়েছে দুই গোল। এর জন্য ক্লান্তির পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতির কথাও উঠে এলো রহমতের কথায়, ‘আগে যা করেছি সেভাবে গেমপ্ল্যান ছিল, মিডজোনে ব্লক করে এরপর অ্যাটাকে যাবো। কোনও কারণে গোল হজম করে ফেলছি। আমার মনে হয় এনার্জির ঘাটতি ছিল। এটা বিপিএল নয়, আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সাত দিনের মধ্যে তিনটা ম্যাচ খেলা কঠিন।’ শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাগতিকদের অ্যাটাক লাইনকে সেরা বলছেন রহমত। বিপরীতে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের দুটি গোল এসেছে ডিফেন্ডারদের কাছ থেকে। তাই ফরোয়ার্ডদের গোল না পাওয়া নিয়ে এক ধরনের হতাশা আছে বাংলাদেশের। রহমত অবশ্য বলেছেন, ‘ফিনিশিং সমস্যা পুরনো। চেষ্টা করছি উন্নতি করার জন্য। কোচিং স্টাফও কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।’