জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শিক্ষা কেবল মৌলিক মানবাধিকার নয়, প্রতিটা মানুষের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার এবং শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সমঝোতাপূর্ণ বিশ্ব গঠনেরও একটি পথ।
শনিবার শিক্ষাকে আক্রমণ থেকে রক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে জাতিসংঘ প্রধান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষাকে আক্রমণ থেকে রক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা কঠিন এক সত্যের ওপর আলোকপাত করতে চাই। সশস্ত্র সংঘাতসহ নানা সংকটের কারণে বিশ্বের ২২ কোটি ৪০ লাখ শিশু–কিশোরের এখন জরুরিভিত্তিতে শিক্ষা সহায়তা প্রয়োজন। যাদের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া ৭ কোটি ২০ লাখ শিশু–কিশোরও রয়েছে।
গুতেরেস আরও বলেন, শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও শিক্ষা কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ এতটাই স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে যে, এসব আক্রমণ নিষ্ঠুরভাবে শিশু–কিশোরদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। শুধু তাই নয়, এ ধরনের আক্রমণ মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির কারণও হচ্ছে, যা জীবনভর বহন করতে হতে পারে।
সকল রাষ্ট্রকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি সকল রাষ্ট্রকে ‘সেফ স্কুলস ডিক্লেয়ারেশন’–এর প্রতি সমর্থন জানানোর, গ্লোবাল কোয়ালিশন টু প্রোটেক্ট এডুকেশন ফ্রম অ্যাটাক–এ সহায়ক ভূমিকা পালনের এবং গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ: পার্টনারশিপ ফর ট্রান্সফরমেটিভ অ্যাকশনস ইন ক্রাইসিস সিচুয়েশনস’–এ যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মূলত, গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ: পার্টনারশিপ ফর ট্রান্সফরমেটিভ অ্যাকশনস ইন ক্রাইসিস সিচুয়েশনস উদ্যোগটি সংকটকালেও শিশু ও তরুণদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে অংশীদারদের নিয়ে কাজ করে।
সর্বোপরি স্থান, কাল, পাত্রের ঊর্ধ্বে উঠে প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ ও শেখার অঙ্গন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান জাতিসংঘ প্রধান।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২