November 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 12th, 2023, 8:54 pm

মিয়ানমারে তিনদিনে ৩০ সেনা নিহত

অনলাইন ডেস্ক :

মিয়ানমারে গত তিনদিনে অন্তত ৩০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। সাগাইং ও মান্দালয় অঞ্চলে গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধ বাহিনী পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) যোদ্ধাদের হামলায় এসব সেনা নিহত হয়। খবর দ্য ইরাবতীর। সম্প্রতি সাগাইং ও মান্দালয় অঞ্চলে বিমান হামলা জোরদার করেছে জান্তা বাহিনী। এসব হামলায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। তবে মাঝে মাঝেই পাল্টা গেরিলা হামলাও চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।

প্রতিবেদন মতে, চলতি সপ্তাহে সাগাইং ও মান্দালয় অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে মিয়ানমারের ছায়া সরকারের নেতৃত্বাধীন পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস তথা পিডিএফ। এসব হামলায় গত তিনদিনে অন্তত ৩০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একটা ঘটনায় সাত প্রতিরোধ যোদ্ধার একটি দল সাগাইংয়ে একটি সামরিক ঘাঁটিতে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে অন্তত ২০ সরকারি সেনা নিহত হয়।

এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে পিডিএফ। মিয়ানমারে প্রায় দুই বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে সংঘাত চলছে। যা বর্তমানে একটা সম্পূর্ণ গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে গণতন্ত্রপন্থি ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের অনুগত বাহিনী পিডিএফ। এদিকে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) নেতারা। একই সঙ্গে দেশটিতে মানবিক সহায়তা দেয়ার কাজে যুক্ত জোটের কর্মকর্তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা। এরপর থেকেই দেশটিতে সহিংসতা চলছে। এ সংকট কাটিয়ে শান্তি ফেরাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আসিয়ান। তবে এসব তৎপরতা এখনো সফলতার মুখ দেখেনি। মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার লাবুয়ান বাজোতে আসিয়ান নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে আসিয়ানের নেতারা বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

‘দেশটিতে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিরাপদে ও সময়মতো মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সংলাপ চালিয়ে যেতে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান করছি।’ শুধু আসিয়ান নয়, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সমালোচনা করে আসছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক পক্ষও। তবে এসব সমালোচনা আমলে নিতে রাজি নয় মিয়ানমার। এমনকি দেশে বিরোধী নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও নারাজ তারা।