May 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 9th, 2024, 8:25 pm

মুদ্রাস্ফীতির চাপে ১০ হাজার পেসোর নোট ছাপবে আর্জেন্টিনা

অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশটিতে বাড়ছে দারিদ্র্য। মূল্যস্ফীতির হার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ১০ হাজার পেসোর নোট ছাপানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার।

মঙ্গলবার দেশের মানুষের টাকার ব্যাগ একটু হালকা করতে দেশের মুদ্রার সর্বোচ্চ নোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে আর্জেন্টিনায়।

গত মার্চ মাসে ২৮৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি দেখে আর্জেন্টিনা যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটির জনগণকে বর্তমানে বড় ব্যাগে করে টাকা নিয়ে বাজার করতে যেতে হয়।

জনগণের লেনদেনে সুবিধার কথা চিন্তা করে আগামী মাসেই ১০ হাজার পেসোর নোট বাজারে ছাড়া হবে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে তা ১০ হাজার মূল্যমানের হলেও আন্তর্জাতিক মূল্যমানে ওই নোট মাত্র ১১ ডলারের সমান।

লেনদেনে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনাবাসীর সবচেয়ে পছন্দের নোট হচ্ছে ১ হাজার পেসোর নোট। ২০১৭ সালে যখন এই নোট প্রথম বাজারে ছাড়া হয়, তখন তার মূল্যমান ছিল ৫৮ ডলার। তবে নামতে নামতে তা বর্তমানে মাত্র ১ ডলারে এসে ঠেকেছে।

গত বছরের নভেম্বরে দেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে একগাদা ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডানপন্থী অর্থনৈতিক উদারবাদী নেতা হাভিয়ের মিলেই। আর্জেন্টিনার অর্থনীতির খোলনলচে বদলে দিতে তার গৃহীত পরিকল্পনাকে ‘শক থেরাপি’ আখ্যায়িত করেন মিলেই।

মিলেইয়ের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল- কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া, নিজ দেশের মুদ্রা পেসো বাতিল করে ডলারের প্রচলন করা, সরকারি ব্যয় কমানো এবং জনগণের কষ্ট হলেও বড় রকমের সংস্কার কর্মসূচি চালানো।

তার সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন নোট ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুধু তা-ই নয়, এ বছরের শেষের দিকে ২০ হাজার পেসোর নোট বাজারে ছাড়া হতে পারে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে চললেও মিলেই দাবি, তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর গত ডিসেম্বর মাস থেকে তা নাকি নিম্নগামী। তবে তার গোয়ার্তুমির কারণে ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় আর্জেন্টিনার অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে গেছে। ফলে জনগণের দুর্দশাও বেড়েছে।

মিলেইয়ের অদূরদর্শী পদক্ষেপের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।