নিজস্ব প্রতিবেদক:
তানজিম হাসান ও রকিবুল হাসানের কী পাওয়ার আছে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে? গত যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সদস্যকে কেন এবারও ধরে রাখা হলো? এর একটা ব্যাখ্যা দিলেন দলের ম্যানেজার আবু এনাম মো. কাউসার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুব এশিয়া কাপে খেলার পর সেখান থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে যুব বিশ্বকাপে খেলতে যাবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটায় ঢাকা ছাড়বে দল। এর আগের দিন মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফটোসেশনে পর কাউসার জানান, রকিবুল ও তানজিমকে দলে নেওয়ার কারণ। “প্রথমত আপনাকে দলের দিকে দেখতে হবে। টুর্নামেন্টে যেহেতু সুযোগ আছে তাদের খেলার, সেই সুযোগটা আমরা নিয়েছি। এখানে অভিজ্ঞতা একটা ব্যাপার, আমাদের যে কম্বিনেশন, তাতে খুবই তরুণ একটি দল।” “আমাদের গত বিশ্বকাপ দলের চার জন খেলোয়াড় এই দলে আছে, তার মধ্যে শুধু দুজন খেলেছে। আর যে দুজন আছে (প্রান্তিক নাবিল নওরোজ ও মেহরব হোসেন) তারা কিন্তু ম্যাচ খেলেনি। তাদের সেই অভিজ্ঞতাটা নেই। ম্যাচের আমেজ, ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যে ব্যাপারটা সেটাও নেই।” বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল যাচ্ছেন দলের অধিনায়ক হয়ে। পেস বোলিং আক্রমণের নেতা তানজিম। কাউসার মনে করেন, এই দুই জনের অভিজ্ঞতা ঋদ্ধ করবে অন্য ক্রিকেটারদের। “আইনগতভাবে খেলার জন্য তারা উপযোগী। তাদের যে অভিজ্ঞতা, এটা টিমের মধ্যে যদি দেওয়া যায়, আপনারা দেখেছেন তারা কীভাবে ভারতে কামব্যাক করেছে। দলে শুধু ঘাটতি ছিল অভিজ্ঞতা। আমরা মনে করছি, রকিবুল ও (তানজিম) সাকিবকে যে দলে আনা হয়েছে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” “আমরা ১৭ জন ক্রিকেটার নিয়ে যাচ্ছি, ১৫ জন মূল দলে, দুজন ট্রাভেলিং রিজার্ভ, যেহেতু সেখানে ঝুঁকি আছে। বাকি ১৫ জন এই দুজন (রাকিবুল-সাকিব) থেকে শিখবে, কীভাবে মাঠে লড়াই করতে হয়, কীভাবে টিকে থাকতে হয়, তাদের যে অভিজ্ঞতা আমি এটা ইতিবাচকভাবে দেখছি।” দেশের মাটিতে আফগান যুব দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জয়ের সিরিজে সবশেষ দুই ওয়ানডেতে হারে বাংলাদেশ। পরে শ্রীলঙ্কায় ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে হয় হোয়াইটওয়াশড। এরপরই দলে যুক্ত করা হয় রকিবুল ও তানজিমকে। এই দুই জনকে নিয়ে ভারত সফরে গিয়ে জেতে তিন দলের টুর্নামেন্টের ট্রফি। টুর্নামেন্টর অন্য দুই দল ছিল ভারত ‘এ’ ও ভারত ‘বি।’ গতবার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা রকিবুল জানান, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তারা। “গতবার যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন ভালো প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছি। খেলোয়াড় হিসেবে আমি নতুন ছিলাম এবার পুরনো। গতবার যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি সেটাই দলের ক্রিকেটারদের সাথে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করেছি। আর আমাদের দলটাও ভালো আছে, আশা করি আমরা ভালো করব।” “গতবার তো এরকম কোভিড পরিস্থিতি ছিল না। কোভিডের কারণে আমরা যেমন এবার প্রস্তুতি নিতে পারিনি তেমনি বাকি দলগুলোও পারেনি। আমরা গত ২-৩ মাসে কয়েকটা সিরিজ খেলেছি এবং আমি মনে করি এটাও খারাপ না। আমাদের ভালো প্রস্তুতিই হয়েছে এবং এশিয়া কাপের আগে যে ক্যাম্পটা করলাম সেটাও ভালো হয়েছে।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা