লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র প্রতারণার অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের মধ্যে প্রতারক চক্রের তিন সদস্য ও ১০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
শুক্রবার পরীক্ষার শুরুর আগে রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-মাহমুদুল হোসাইন, তার স্ত্রী শারমীন আক্তার, সুমি আক্তার, মোরশেদা জান্নাত রেবু, সুরাইয়া আক্তার, তানিয়া বাসার, তাসনিম আক্তার, সারমিন আক্তার, মন্জুর হোসেন, রহমত উল্লাহ, পারভেজ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন সবুজ।
শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, দেশব্যাপী প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরে ২৩টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। একে কেন্দ্র করে একটি চক্র রামগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আমিররেন্নেছা ভবন থেকে প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার গোপন সংবাদ পায় ডিবি পুলিশ। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগে ওই ভবন থেকে মাহমুদুল, তার স্ত্রী শারমীন, সুমি, রেবুসহ আট জনকে আটক করে পুলিশ।
তিনি জানান, এসময় তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র সম্বিলিত ভূয়া প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেকের পাতা, শিক্ষা সনদের মূলকপি উদ্ধার ১২টি পরীক্ষার প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে মন্জুর, রহমতসহ আরও পাঁচ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, প্রতারক চক্রের আরও সদস্যদের খুঁজছে পুলিশ, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, সহকারি পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিআই ওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ