November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, November 20th, 2021, 12:34 pm

শীতের প্রথম বাজার ধরতে ব্যস্ত যশোরের সবজি চাষিরা

যশোরে আগাম শীতের সবজি দ্রুত বাজারে তুলতে, খাবারে বেশি স্বাদ যোগতা এবং বেশি টাকা আয় করার জন্য চাষিরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি, সাতমাইল, চুড়ামনকাটি, বারিনগর, হৈবতপুর, কাশিমপুর, বন্দবিলা, লেবুতলা, নোঙরপুর, ইছালি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জেলার সবজি চাষের কেন্দ্রস্থল। সেখানে এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুটি, মুলা, বোতল করলা এবং বিভিন্ন ধরনের পালং শাকের মতো শীতকালীন সবিতে মাঠ সবুজ হয়ে উঠছে।

সরকারি সূত্র জানায়, দেশের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ সবজিই যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সবজি দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হয়।

যদিও এ বছর দীর্ঘ অনাবৃষ্টি আর তীব্র গরমের জন্য অনেক কৃষক সময়মতো শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করতে পারিনি, এ কারণে একটু দেরি হয়েছে। এর মধ্যেও কিছু কৃষক স্থানীয় বাজারে উৎসাদিত সবজি স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে ভালো দাম পাচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মাঝিমাঝি সময়ে রবি মৌসুম শুরু হয়েছে। এ সময় শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু হয় চলবে মার্চ মাসের মাঝিমাঝি পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে জেলায় ১৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, মূলা, লালশাক- পালংশাক, সবুজ শাকসহ নানা ধরনের সবজি চাষ হয়েছে।

যশোর সদরের বাগডাঙ্গা গ্রামের উজ্জল দাস জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে ওলকপি লাগিয়েছেন। এতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার মতো। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় তিনি ৮০ থেকে ৮৫ মণ ওল পাবেন। এই হিসাবে তিন বিঘায় তার উৎপাদন হবে ২৪০ মণ।কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে বীজ, সার, মজুরি ও পরিবহন খরচ বাদে বিক্রি করলে তার লাখ খানিক টাকা লাভ হবে।

রাজাপুর মাঠের সবজি চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে কপি ও ১০ কাঠা জমিতে লালশাকের চাষ করেছি। আশা করি এখান থেকে ভালো লাভ করব।

ইবাদত আলী নামে এক চাষি জানান, বর্তমানে বাজারে যে সব শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো মৌসুমের আগে লাগোনো হয়। যে কারণে ফুলকপি- বাঁধাকপি ভরা মৌসুমের মতো পরিপক্ক হয় না, সাইজে ছোট হয়। এসব কপির দাম কম হওয়ার কথা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় এখন দাম বেশি।

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম একটু বেশি থাকে। এ সময় উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া বর্ষার কারণে উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় দাম একটু বেশি।

মাসখানেক পার হলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সবজির দাম স্বাভাবিক হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

—ইউএনবি