অনলাইন ডেস্ক :
টনি ক্রুস ও মার্কো আসেনসিওর গোলে ইন্টার মিলানকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে ডি-গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সহজ এই জয়ে মাদ্রিদ পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানে ইটালিয়ান জায়ান্টদের পিছনে ফেলেছে। গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে ইন্টারও পৌঁছে গেছে শেষ ১৬’তে। গ্রুপের শীর্ষস্থানে থেকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে ইন্টারকে অবশ্যই জয়ী হতে হতো। কিন্তু ঝড়ো আবহাওয়ায় মাদ্রিদই নিজেদের মাঠে আধিপত্য দেখিয়েছে। ১৭ মিনিটে ক্রুসের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর ৬৪ মিনিটে নিকোলা বারেলার সরাসরি লাল কার্ডে ১০ জনের দলে পরিনত হয় ইন্টার। ৭৯ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় আাসেনসিও দলের জয় নিশ্চিত করেন। শীর্ষ স্থান নিশ্চিত হওয়ায় মাদ্রিদকে পরের রাউন্ডে অন্তত লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির মত দলকে মোকাবেলা করতে হচ্ছেনা। যদিও রানার্স-আপ পটে রয়েছে লিওনেল মেসির পিএসজি। ম্যাচ শেষে মাদ্রিদের ক্রোয়েট মিডফিল্ডার লুকা মড্রিচ বলেছেন, ‘শক্তিশালী দলগুলোকে এড়ানোর লক্ষ্যে আমরা গ্রুপের শীর্ষস্থানে থেকে প্রথম রাউন্ড শেষ করতে চেয়েছিলাম। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’ সেপ্টেম্বরে শেরিফের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে হতাশাজনক পরাজয় ছাড়া মাদ্রিদের গ্রুপ পর্বে আর কোন হোঁচট খেতে হয়নি। ইন্টারকে দুইবার পরাজিত করাসহ পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মাদ্রিদ পরের রাউন্ডে উঠেছে। কিন্তু কার্লো আনচেলত্তির সামনে এখন একটাই চ্যালেঞ্জ বড় পরিসরে নিজেদের সেরা প্রমান করা। গত মৌসুমে চেলসির বিপক্ষে সেমিফাইনালে পেরে উঠেনি মাদ্রিদ। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শিরোপা দৌঁড়ে নিজেদের প্রমান করাই হবে মাদ্রিদের মূল দায়িত্ব। শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লা লিগায় ইনজুরিতে পড়া করিম বেনজেমা কাল অনুপুস্থিত ছিলেন। তার স্থানে খেলতে নামেন লুকা জোভিচ। রোববার এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরোয়া ডার্বিতে বেনজেমার ফিরে আসার প্রত্যাশা করছে গ্যালাকটিকোরা। আনচেলত্তিও এ ব্যপারে আশাবাদী। স্প্যানিশ লা লিগায় ইতোমধ্যেই আট পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। কালকের ম্যাচের শুরুতে অবশ্য ইন্টার কিছুটা আগ্রাসী ছিল। মার্ষেলো ব্রোজোভিচ একটি ভাল সুযোগ নষ্ট না করলে মাদ্রিদই হয়ত আগে লিড নিতে পারতো। মধ্যমাঠে অবশ্য মড্রিচ ও ক্রুসও বারবার ইন্টারের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছিলেন। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ১৭ মিনিটে ক্রুস আর কোন ভুল করেননি। ডানদিন থেকে ক্যাসেমিরোর বাড়ানো পাসে ক্রুস দারুন এক শটে বল জালে জড়ান। এই গোলের পর ইন্টারের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। প্রথমার্ধের বাকি সময়টা তারা নিজেদেও ঘর সামলাতেই ব্যস্ত ছিল। বিরতির পর জোভিচ, ভিনিসিয়াস ও রডরিগো কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। ৬৪ মিনিটে এডার মিলিটাওকে ফাউলের অপরাধে লাল কার্ড দেখতে বাধ্য হন বারেলা। এই ঘটনায় অবশ্য মিলিটাওকে হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করা হয়। এই ঘটনায় আরো পিছিয়ে পড়ে ইন্টার। এই সুযোগে ৭৯ মিনিটে আসেনসিও দুর্দান্ত কার্ভিং শটে ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা