জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (ঝিনাইগাতী) :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর বিটিসিএল একচেঞ্জের জায়গাটি এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারীর অভাবে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও একচেঞ্জ অফিসের জায়গাটি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, গত প্রায় ৪যুগ পূর্বে ওইখানে সরকারী ভাবে বার্তা আদান প্রদানের জন্য একটি শক্তিশালী ওয়ার্লেস অফিস স্থাপন করা হয়। ওই ওয়ার্লেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের বার্তা আদান-প্রদানের জন্য একটি শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম ছিল। পরবর্তীতে উক্ত ওয়ার্লেস অফিসের সাথে যুক্ত হয় টেলিফোন একচেঞ্জ। এতে একচেঞ্জের মাধ্যমে অত্রাঞ্চলে লেন ফোনের ব্যবহার শুরু হয়। টেলিফোন একচেঞ্জ চালু থাকাকালিন সময়ে ওই অফিসের জায়গা নির্ধারণের জন্য খুঁটি ও কাঁটা তার দিয়ে বেষ্টনি দেওয়া ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এনালগ সিস্টেম এর পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় উক্ত অফিসের উপর কর্তৃপক্ষ নজরদারি ও জনবল কমিয়ে দেয় একচেঞ্জ কর্তপক্ষ। এরপর থেকে অফিস রক্ষার বাউন্ডারী ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ার ফলে অফিসের সীমানা প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। অফিসের নির্দিষ্ট বাউন্ডারী না থাকায় এখন অফিসের জমির সীমানা নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে টেলিফোন একচেঞ্জের জায়গা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। উক্ত একচেঞ্জের অফিসটি সংরক্ষিত রাখার কথা থাকলেও বর্তমানে অফিসটি অরক্ষিত ও বেহাল দশা অবস্থায় আছে। উল্লেখ্য উক্ত অফিসটি অরক্ষিত থাকার কারনে অফিসের জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলানোর স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। যাহা অফিসের পরিবেশের অযুগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে উক্ত অফিসের পরিবেশ তৈরি করা জরুরি প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি