অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি নেপালে ২২ আরোহী নিয়ে একটি প্লেন নিখোঁজ হয়। বিধ্বস্ত ওই প্লেনের সব আরোহীই মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩১ মে) পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই প্লেনে ভারতের একটি পরিবারের সব সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ওই পরিবার ছুটি কাটাতে নেপাল যাচ্ছিল। ব্যবসায়ী অশোক কুমার ত্রিপেঠী এবং তার স্ত্রী বৈবভী বান্দেকার ত্রিপেঠীর অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে প্রতি বছরই তারা সন্তানদের সঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটান। এ বছরও ছেলে দানুস (২২) এবং মেয়ে রিতিকাকে (১৫) নিয়ে তারা ছুটি কাটাতে নেপাল যাচ্ছিলেন। কিন্তু গত রোববার অনাকাক্সিক্ষত ওই দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। অশোক ত্রিপেঠী (৫৪) ওড়িশায় একটি কোম্পানি পরিচালনা করেন। অন্যদিকে বৈবভী ত্রিপেঠী (৫১) মুম্বাইয়ের একটি বাণিজ্যিক ফার্মে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা এয়ারের ওই প্লেনটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। পরে স্থানীয় সময় গত রোববার সকালে প্লেনটি নিখোঁজ হয়। ৯এন-এইটি প্লেনটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখারা থেকে প্লেনটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্লেনটিতে ১৩ জন নেপালি, চারজন ভারতীয় ও দুজন জার্মান নাগরিক ছিলেন। নেপালের সেনাবাহিনী জানায়, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মুস্তাং জেলায় প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। মোট ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল ওই প্লেনটি। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিলে দেশটিতে আরও একটি প্লেন দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু