জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গাড়ি ভাঙচুর ও ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আহত হন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ওসি নুরন্নবী প্রধানসহ তাদের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনসভা সফল করতে কামারখন্দে দলীয় কার্যালয়ে আমরা আলোচনার আয়োজন করি। সেখানে কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে আমরা রেলওয়ে স্টেশনে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তারা সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। প্রতিরোধ করতে গেলে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে রুমানা মাহমুদ ও আমিসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হই। এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, বিএনপি নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তাদের দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে স্টেশন এলাকায় থাকা আমাদের সাতজন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন। সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আদনান মুস্তাফিজ বলেন, ‘বিএনপি তাদের কর্মসূচি শেষ করে জামতৈল স্টেশন এলাকায় দোকানপাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর শুরু করে। পরে বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। তাদের হামলায় আমি ও থানার ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম