জেলা প্রতিনিধি, ফেনী :
ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। সোমবার বিকাল ৪টায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সকারি পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সার্কেল মাশকুর রহমান, সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আরিফুল করিম দোলন, যুবদল নেতা নুর আলম ভূঞা, আবুল হাসেশ, নুর করিম, বেলায়েত হোসেন, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক ও নুর হোসেন প্রমুখ। পুলিশ জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানী তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ কর্তৃক গুলি করে ছাত্রনেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে ২৯ আগষ্ট সোমবার বিকালে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সোনাগাজী জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন এনায়েত শপিং কমপ্লেক্সেের সামনে আহূত সমাবেশ বানচাল করতে পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের ডাক দেয়। কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোনাগাজী জিরোপয়েন্ট দখলে নিয়ে লাঠিশোঠা হাতে মিছিল করতে থাকে। এ ছাড়াও ডাকবাংলা ও মতিগঞ্জ নামক স্থানে পাহারা বসিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা প্রদান করেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পুলিশের অনুরেধে সঙ্ঘাত এড়াতে বিএনপি স্থান পরিবর্তন করে ভৈরব রাস্তা নামক স্থানে সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশ শুরুর কিছু সময় পর প্রধান সড়কে একটি কোস্টগার্ডের খালি গাড়ি দেখে পুলিশের গাড়ি মনে করে ৩০-৪০জন উশৃঙ্খল নেতাকর্মী গাড়িটি ধাওয়া করে। আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সামনে দায়ীত্বে থাকা পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ এসময় প্রায় ৪০ রাউন্ড করে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক