অনলাইন ডেস্ক :
পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানোর জন্য ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে রেখে দালাললের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন টুনি বেগম। কিন্তু পরিবারের অভাব অনটন ঘুচানোতো দূরের কথা অবশেষে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরলেন টুনি বেগম। শনিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করে টুনি বেগমের পরিবার। টুনি বেগম উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের মেয়ে। স্বজনরা শনিবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করে রোববার দুপুরে উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে দাফন করেছে। পরিবারের আহাজারি লাশ পেলাম কিন্তু বিচার পেলাম না। টুনি বেগমের ৩ সন্তান মায়ের লাশের পাশে অঝোর ধারায় কান্না করছে।
টুনি বেগমের ভাই হান্নান মিয়া জানান-পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার ভাগদিয়া গ্রামের হাছান মিয়া ও দুলাল মিয়ার মাধ্যমে এ বছরের ১৮ই মার্চ ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরিবারের আর্থিক স্বচ্চলতা ফিরিয়ে আনতে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর টুনি বেগমের উপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। টুনির সঙ্গে থাকা সৌদি প্রবাসী এক নারী গত ১২ সেপ্টেম্বর ফোন করে জানান টুনি বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। টুনির পরিবারের অভিযোগ সৌদি প্রবাসী উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের হেলাল মিয়া এবং উপজেলার জালুয়াবাদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুর মিয়া ও ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাঁও গ্রামের কামরুল মিয়া টুনি বেগমকে পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
টুনির বোন সায়েরা বেগম জানান, হত্যার ২ মাস পর পরে অনেক ঘুরাঘুরি করে বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি আরব থেকে গত শনিবার রাতে টুনি বেগমের লাশ ফেরত পেয়েছি। কিন্তু এ ঘটনার লাশ ফেরত পেলেও টুনি বেগম হত্যার বিচার পাব কিনা এ নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। সরকারের নিকট আমাদের দাবী কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টুনি বেগমের প্রকৃত অপরাধীদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান, টুনি বেগমের লাশ তার পরিবার বুঝে পেয়ে রোববার দুপুরে রাজেন্দ্রপুর পারিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করেছে। যেহেতু ঘটনাস্থল সৌদি আরব অতএব সে দেশের সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক